সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ মানিকছড়িতে

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বই বিতরণ করছে সরকার। সেই উৎসবে যখন মেতেছে স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা তখনই শিক্ষার্থীদের বই বিক্রিতে ব্যস্ত খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যাছোলা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ ওমর ফারুক। উপজেলার যোগ্যাছোলায় প্রতিষ্ঠিত যোগ্যাছোলা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার (অননুমোদিত) সুপার মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সরকারি বই নিয়ম বহির্ভূত বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকাবাসীর মাঝে আলোচনার ঝড় উঠেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির সুপার ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি বিক্রয়কৃত বইয়ের স্তুপের বেশ কয়েকটি ছবি স্থানীয় এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রকাশ করে বিরুপ মন্তব্য করার পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আনার চেষ্টা করেন। যেখানে সারাদেশে বই সংকট চলছে ঠিক সেই সময়ে তিনি সরকারি বই কেজি ধরে বিক্রি করছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটি মাদরাসার পাঠদানের অনুমোদন থাকলেও যোগ্যাছোলা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসায় নেই পাঠদানের সরকারি কোন অনুমোদন। তবে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বই চেংগুছড়া দাখিল মাদরাসার নামেই সংগ্রহ করা হয়। প্রতি বছরের শেষে ছাত্র/ ছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি দেখিয়ে নতুন বই ও শিক্ষার্থীদের থেকে পুরাতন বই সংগ্রহ করে অসাধু এ পন্থা অবলম্ব করে সরকারি বই বিক্রি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলী নেওয়াজ।
কমিটির আরেক সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, আমরা বই বিক্রি করার কথা জানতে পেরেছি। সুপারের কাছ থেকে এটি আশা করিনি। তবে কমিটির সকল সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বইয়ের ক্রেতা রহিমা ও আজিজ সওদাগর জানান, যোগ্যাছোলা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার থেকে তারা নতুন পুরাতন বই কিনেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বই বিক্রির কথা অকপটে স্বীকার করে মাদরাসার সুপার মো. ওমর ফারুক বলেন, পুরাতন বই-খাতা অপ্রয়োজনীয় বলে এগুলো সংরক্ষণ রাখলে ময়লা জমে। তাই বিক্রি করা হয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহকৃত বই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কিংবা ভুল তথ্য দিয়ে মাদরাসায় সংগ্রহ করে রাখা বই বিক্রি করার কোনো বিধান নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রেহেনা মোস্তফা।