সৌহার্দ্যরে উষ্ণতায় শীতার্তদের পাশে সিন্দুকছড়ি জোন
স্টাফ রিপোর্টার: ঋতু বৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর দেশে শীতকাল এদেশের মানুষের জন্য উপভোগ্য খেজুর রস, নানা প্রকার পিঠাপুলি ও রকমারী সবজ্বি আর নবান্নের উৎসবে। কিন্তু শীত এলেই এদেশের এক শ্রেণীর মানুষে দূর্ভোগ পৌছে চরম পর্যায়ে। শীতবস্ত্রের অভাবে এমানুষগুলো তাকিয়ে থাকে সমাজের বিত্তবানদের দিকে। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শীতের প্রকোপ বেশী থাকে বিধায় পাহাড়ে নি¤œ আয়ের পাহাড়ী-বাঙ্গালী মানুষগুলোর কষ্ট বেড়ে যায়। এবছর শীত সমাগত। ফলে শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে নিন্মআয়ের মানুষের। শীতের শুরুতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা, মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলাধীন হতদরিদ্র-প্রতিবন্ধী পাহাড়ী-বাঙ্গালী শতাধিক মানুষের পাশে সৌর্হাদ্যের উষ্ণতার পরশ নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন ২৪আর্টিলারী ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার।
সোমবার সকালে জালিয়াপাড়াতে ১৪ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোনের উদ্যোগে গুইমারা, মানিকছড়ি, রামগড় উপজেলার ১২০ প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র(কম্বল) তুলে দেন রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম। এসময় ১৪ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব উপস্থিত ছিলেন।
১৪ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব জানান, শীতের শুরুতে প্রতিবন্ধী মানুষগুলো যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ১২০জন প্রতিবন্ধীকে শীতবন্ত্র বিতরন করা হয়েছে। সিন্দুকছড়ি জোনের উদ্যোগে পুরো শীতকাল জুড়েই শীতার্তদের সাহায্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। অসহায় শীতার্তদের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি আহবান জানান। তিনি। এসময় ৩জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার বিতরন করা হয়েছে।