স্বেচ্ছায় ধরা দিলো গুইমারায় স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী
স্টাফ রিপোর্টার: বহুল আলোচিত স্ত্রী মাধবী রাণী রায় (পিংকি)কে হত্যার অভিযোগে গুইমারা থানার দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামী খাগড়াছড়ি’র গুইমারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে স্বেচ্ছায় নিজে থানা পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে। গত ৩০সেপ্টেম্বর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর হাসপাতালে লাশ রেখে আত্মগোপনে থাকার পর নিজেই থানায় এসে ধরা দিয়েছেন তিনি। গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩০সেপ্টেম্বর নিহতের মা মঞ্জু রানী পাল বাদী হয়ে মাধবী রাণী রায় পিংকিকে(২৫)হত্যার অভিযোগে গুইমারা থানায় আসামী সাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে সাগর আত্মগোপনে থাকার পর ৪অক্টোবর সকাল-১০.৪০ঘটিকায় ডাক্তারটিলা এলাকা থেকে এসে সিএনজিযোগে গুইমারা থানায় গিয়ে নিজেই থানা পুলিশের কাছে ধরা দেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাগর চৌধুরী ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পর ২০১৭সালের ১০ডিসেম্বর ফেনী ফুলগাজী উপজেলার নতুন মুন্সিরহাট গ্রামের স্বপন কুমার রায়ের কন্যা মাধবী রানী রায়কে বিয়ের পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিল না। পারিবারিক কলহ চলছিল। ২৯সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে মাধবীকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষনা করে। এখবর শুনে রোগীর সাথে থাকা লোকজন কৌশলে সরে যায়। স্ত্রীর মৃতদেহ রেখে চলে যায় গুইমারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর চৌধুরী নিজেই।
সাগর চৌধুরীর আত্ম সমর্পনের খবর পেয়ে রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন গুইমারা থানায় এসে সাগর চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, আসামী সাগর চৌধুরীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।