হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থীতা ফিরে পেলো মুজিবুল হক
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: নাজিরহাট পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী মজিবুল হক চৌধুরীর ঋণ খেলাপীর দায়ে বাতিল হওয়া প্রার্থীতা হাইকোর্টের রায়ে ফিরে পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিচারপতি আতাউল হাকিম ও বিচাপতি মো. ফারুকের সমন্বিত বেঞ্চ এই রায় দেন। ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুজিবুল হকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু ও বিচাপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী। সহযোগী ছিলেন ব্যারিষ্টার তানজিবুল আলম, ব্যারিষ্টার শাকিবুজ্জামান, ব্যারিষ্টার কাজী এরশাদুল আলম।
এর আগে গত ৫-৬ মার্চ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই কালে রির্টানিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান ঋণখেলাপীর দায়ে তার মনোনয়পত্র বাতিল করেন। পরে মুজিবুল হক চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আপীল করলে নবাগত জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন একই আদেশ বহাল রাখেন। তখন তিনি মহামান্য হাইকোর্টে রীট মামলা দায়ের করলে গতকাল আদালত এই আদেশ দেন।
এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফটিকছড়ি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, আইনী জটিলতায় আমাদের কর্মী গুলো জিমিয়ে পড়েছিল। এখন তারা উৎফুল্ল। শুক্রবার সকাল ১০টায় দলের বর্ধিত সভা ডেকেছি। সেখানে প্রচারণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ২৯ তারিখের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও নৌকা আছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মুজিবুল হক বলেন, আমি আইন মেনেই ব্যাংকের টাকা ফেরত দিয়েছি এবং আইন মেনেই প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি। ২৯ মার্চ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নিবাচনে আমি ও আমার দল আছি।
প্রসঙ্গত: এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদন্ধীতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো. মুজিবুল হক চৌধুরী (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থী এস এম সিরাজুদৌল্লাহ (ধানের শীষ), বাংলাদেশ তরিকত ফেড়ারেশনের প্রার্থী মো. শাহ জালাল (ফুলেরমালা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আজম ছাদেক (মোবাইল ফোন), মো. আনোয়ার পাশা কন্ট্রাকটার (নারকেল গাছ), ইঞ্জিনিয়ার এম হায়াত (জগ), সাজ্জাদ হোসাইন চৌধুরী (কম্পিউটার )। এতে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ নারী প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৭ পুরুষ প্রার্থী নির্বাচন করছেন।