১৩২ কেভির খাগড়াছড়ির বিদ্যুতের সাব-গ্রিড স্টেশন পরীক্ষামূলক চালু
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: সকল জল্পনা কল্পনার অবশান ঘটিয়ে অবশেষে চালু হলো খাগড়াছড়ি বিদ্যুতের সাব-গ্রিড স্টেশন। ফলে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লো-ভোল্টেজসহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পার্বত্যবাসী। ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৩২ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের এই সাব-গ্রিড স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ফলে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির তিন উপজেলার ৫৪ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের দীর্ঘ দিনের লো ভোল্টেজের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আশা করছে জেলার জনসাধারণ।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিনের লো ভোল্টেজের সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে ৪শত কোটি টাকারও অধিক ব্যয়ে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ১৩২ কেভি লাইন ও টাওয়ার স্থাপন করে সাব-গ্রিড স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের জুন মাসে জমি অধিগ্রহণ শেষে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর জানান, হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল খাগড়াছড়িবাসীর । সে লক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ঠাকুরছড়া এলাকায় সাব স্টেশন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বিদ্যুৎ বিভাগ সাব-গ্রিড স্টেশন থেকে খাগড়াছড়ির ৯ এবং রাঙামাটির তিনটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছে। ঠাকুরছড়া বিদ্যুতের সাব-গ্রিড স্টেশনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিদ্যুৎ তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. দুলাল হোসেন, সাব-গ্রিড স্টেশনের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিউল্লাহ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, জুয়েল ত্রিপুরাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির ঠাকুরছড়ার এই সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ আসছে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা থেকে রাঙামাটির মানিকছড়ি হয়ে। ২০১৩ সালের ১১নভেম্বর খাগড়াছড়িতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাব-গ্রীড স্টেশন নির্মাণের ঘোষনা দেন।