৪ নেতা হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ’র ডাকা ধর্মঘট পালিত পানছড়িতে
স্টাফ রিপোর্টার: পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফ প্রসীত সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমাসহ ৪ জনকে হত্যার প্রতিবাদে ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে পানছড়িতে পালিত হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাসব্যাপী পানছড়ি বাজার বয়কটের ফলে বাজারে আসছে না পাহাড়িরা। তাই সাপ্তাহিক হাটের দিন রবিবার বাজার ছিল অনেকটাই ফাঁকা।
প্রতি রবিবারে পানের পাইকারী ব্যবসায়ীরা ছুটে আসলেও আজ পান বাজারে দেখা মেলেনি ক্রেতা-বিক্রেতার। তবে এই ধর্মঘট সাধারণ হলেও শাক-সবজির দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
পানছড়ি থানার ওসি মো. শফিউল আজম জানান, ধর্মঘট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। অবরোধ চলাকালীন যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্তক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।
অবরোধে উপজেলার কলেজ গেইট ও পূজগাংসহ বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট ছিল বন্ধ। পানছড়ির টার্মিনালে দেখা যায়নি কোন পরিবহন। এদিকে একই দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকার পাহাড়ি জনপদ পুজগাং এর অনিলপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা। এ ঘটনায় বিপুল চাকমার চাচা নিরুপম চাকমা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে পানছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এদিকে এই ঘটনায় নিখোঁজ ৩ ইউপিডিএফ সদস্যকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে।