• December 12, 2024

৭২ ঘন্টার মধ্যে বাসন্তী চাকমাকে অপসারণ করা না হলে হরতাল-অবরোধের ডাক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের ভাষণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের জড়িয়ে মিথ্যে বক্তব্য উপস্থাপনের প্রতিবাদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমার অপসারণে দাবি জানিয়েছে পাহাড়ি ও বাঙ্গালিদের কয়েকটি সংগঠন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাসন্তী চাকমাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণ করা না হলে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেয়া হয় মনববন্ধন থেকে।

৩ মার্চ রবিবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শাপলা চত্ত্বরে আয়োজিত পৃথক পৃথক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে।

পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মো. লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মজিদ ও কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এমপি বাসন্তী চাকমাকে উগ্র সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত বাঙালিদের নিয়ে মিথ্যাচার করে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করবার চেষ্টা করেছেন। সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছেন এবং ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছেন। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কল্পনাপ্রসূত বক্তব্য উপস্থাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করেছেন বাসন্তী চাকমা।

মানববন্ধন থেকে বাসন্তী চাকমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ৭২ ঘন্টার মধ্যে এমপি বাসন্তী চাকমাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণ করে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। অন্যথায় হরতাল-অবরোধ করে তাকে অপসারণে বাধ্য করা হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তারা।

মানববন্ধন শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে বাঙালি সংগঠনগুলো। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

এর আগে সকালে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় পাহাড়িরা। এতে দীঘিনালা উপজেলা কার্বারী এসোসিয়শনের সভাপতি হেমাব্রত চাকমা অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি অভিযোগ করেন, সংসদে দেয়া ভাষণে এমপি বাসন্তী চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালির শান্তিপ্রিয় সহাবস্থান বিনষ্টের চেষ্টা করেছেন। তাকে অচিরেই অপসারণ করা না হলে যে কোন পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post