অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এগিয়ে এলেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছাসেবীরা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি সদরের দক্ষিণ খবংপড়িয়ার বাসিন্দা ও শিশু কল্যাণ সংঘ আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পারমিতা চাকমার (৫৫) অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এগিয়ে এল কোয়ান্টাম খাগড়াছড়ির স্বেচ্ছাসেবী দল। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ আগস্ট রাত ২টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ. নুপুর কান্তি দাশের সূত্রমতে ও দিকনির্দেশনায় মৃতের আত্নীয় শাশ্বতী দেওয়ানের আহ্বানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার টিম লিডার বাবু অংক্যমং মারমার নেতৃত্বে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খাগড়াছড়ির স্বেচ্ছাসেবীরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন। ২৩ আগষ্ট দুপুর ১টায় স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
এই কাজটি বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। প্রথমে মরদেহ নিয়ে আধা-কিলোমিটার পথ হেঁটে তারপর মরদেহ নিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে আরো ১৫/২০ মি. নদীর ধার ঘেঁষে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল পথে হাঁটতে হয়েছে। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবীরা কাজটি করেছেন আপনজনের মমতায় ও ধৈর্যের সাথে।
স্বেচ্ছাসেবী দলটির সেবক মো. রাশেদুর রহমান, গুইমারা সরকারি কলেজের প্রভাষক টিপু লাল নাথ, কুমিল্লা টিলা আইডিয়াল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক অরিন্দম কৃষ্ণ দে শাওন, ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন ও কামরুল হাসান ইশতিয়াক বলেন, একজন মৃতকে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো আমাদের সামাজিক দায়িত্বের অংশ। এই সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ায় আমরা সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। মৃতের আত্নীয় শাশ্বতী দেওয়ান ও রিপুল চাকমা করোনা মহামারীকালীন এই সহযোগিতার জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য গত বছর থেকেই করোনায় মৃতদেহ সারা দেশে দাফন বা সৎকারে সেবা দিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের দেড় হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবী। এখন পর্যন্ত ৫৯৬৪ টি মৃতদেহের স্ব স্ব ধর্মীয় মর্যাদায় মমতার পরশে শেষ বিদায় সেবা দেওয়া হয়েছে।