পাহাড়ের আলো রিপোর্ট: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি, গুইমারা ও লক্ষ্মীছড়িসহ ৯ টি উপজেলার একশত পঞ্চাশের মতো রবিসহ বিভিন্ন কোম্পানির টাওয়ার রয়েছে, টাওয়ারে কর্মীরা না আসায় গত ১৫/২০ দিন নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। এমত অবস্থায় ডিজিটালের এই যুগেও নেটওয়ার্ক সমস্যা ভুগছে পাহাড়ের কয়েক লাখ মোবাইল ব্যাবহারকারী।
গত ১৯ এপ্রিল মানিকছড়ির ময়ুরখীল থেকে অপহরণের শিকার ২ টেলিকম কর্মী মো. ইসমাইল মিয়া ও আবে মারমা এর পর গত ৫ জুন ফটিকছড়ির লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী বাজার এলাকার টাওয়ার থেকে অপহৃত অপর ২ টেলিকম কর্মী মো. সুমন ইসলাম ও আব্দুর রহিম সহ মোট ৪জন। উক্ত সহকর্মীকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট টেলিকমিনিউকেশন কর্মচারী ইউনিয়ন। গত সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান রাকিব বলেন, রবি আজিয়াটা, ইডটকো এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। অপহরণ বিষয়ে থানা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবায় নিয়োজিত সহস্রাধিক টেলিকম কর্মী।
এসময় এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
১। অপহৃত চারজন টেলিকম কর্মীকে অবিলম্বে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের জন্য রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ। ২। অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ৩। পার্বত্য এলাকায় কর্মরত টেলিকম শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ৪। টাওয়ার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা। ৫। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও আন্তরিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।