ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, আকষ্মিক লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতাল পরিদর্শনে ইউএনও
মোবারক হোসেন: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা হাসপাতাল। উপজেলা সদর থেকে কিছুটা দুরে। পায়ে হেঁটে গেলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। সাধারণত রোগী কিংবা রোগীর আত্মীয় স্বজন ছাড়া কেউ হাসপাতালের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না এটাই স্বাভাবিক।
সারা দিন অফিসের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে পরন্ত বিকেলে হাঁটতে বের হয়ে পরিদর্শনে গেলেন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুমনা চাকমা, উপজেলা কৃষি অফিসার সফিকুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সারওয়ার ইউসুফ জামাল, শিক্ষক গোলাম মোস্তফাসহ আরো অনেকে। কথা বললেন রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনের সাথে। এসময় উপস্থিত পাওয়া যায় মেডিকেল অফিসার ডা. মুরাদকে। তিনি অবহিত করলেন হাসপাতালের সার্বিক চিত্র।
আজ (সেমাবার) ১৪জন রোগী ভর্তি আছেন। তার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। গত এক মাসে ৫৬জন ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে জানালেন ডা. মুরাদ। হাসপাতালের সার্বিক চিত্র আগের চেয়ে অনেক ভালো বলেই রোগী এবং ডাক্তার উভয়ে জানালেন।
ম্যালেরিয়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা এখনো যে ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ হয় নি তেমন তথ্যই জানা গেলো হাসপাতালে গিয়ে। এক মাসে ৫৬জন রোগী সনাক্ত হওয়া ম্যালেরিয়া যে ভয়াভহ রুপ নিচ্ছে তারই প্রমাণ।