সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো কেয়ার বাল্য বিয়ে

শেয়ার করুন

পাহাড়ের আলো ডেস্ক: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী কেয়ার। সুজন চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা এ খবর নিশ্চত করেছেন।

নিউজের বিস্তারিত আসছে….

প্রকাশিত খবর;

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমাইয়া আক্তার কেয়ার নিজ বাড়ি জেলা শহরের উত্তর গঞ্জপাড়ায়। বাবার নাম কামাল হোসেন। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বিয়েটা হচ্ছে অবশ্য মা’র ইচ্ছেতেই। এই বিয়েতে রাজি না এমনটা জানালেও শেষ পর্যন্ত কেয়ার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ের আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। সব কিছু ঠিক থাকলে হয়ত আজ সন্ধায় কাজি কবুল পড়ালে বাধ্য হয়েই কেয়াকে যেতে হবে শশুর বাড়িতে।

বর ঠিক করা হয়েছে। একই গ্রামের হারুন সওদাগরের ছেলে ইদুল হাসান(২৯)। হিরিটেজ পার্কের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন করার কথা থাকলেও তড়িগড়ি করে সোমবারের পরিবর্তে ২দিন এগিয়েে আজ মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। বাল্যবিয়ে রোধে সরকারের যে আইন রয়েছে তারই আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

বাল্য বিবাহ রোধে সরকার সভা, সেমিনার, গণসংযোগসহ নানা সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে। এর পরেও সমাজে অহরহ বাল্য বিয়ে হচ্ছে। যার ফলে নানা অশান্তি, বিশৃঙ্খলাসহ পরিবারের নানা বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি হয়। অনেকটা জেনে বুঝে পিতা-মাতা এই ভুল গুলো করে থাকে। পরিনাম খুব একটা ভালো হয় না। একটি মেয়ের অংকুরেই স্বপ্ন বিনষ্ট হয়ে যায়। সংসার বুঝে ওঠার আগেই পরিবারের বোঝা চেপে বসে তাঁর উপর। সমাজের এহেন কার্যকলাপ বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে সামাজ ও সমাজের মানুষের।

আইনে বলা আছে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮ বছর এবং ছেলের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ২১ বছর। যদি ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়েকে কিংবা ২১ বছরের নিচে কোনো ছেলেকে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ছেলে ও মেয়ের উভয়ের অভিভাবক এবং বিয়ে পরিচালনার কাজে যাঁরা জড়িত ছিলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হতে পারেনদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১৮বছরের আগে কোনো মেয়েকে বিয়ে দেয়া যাবে না। যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি (পুরুষ বা নারী) বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করেন, তা একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর জন্য তাকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় শাস্তিই হতে পারে এমন বিধান রয়েছে।

Leave a Reply