আপডেট: মানিকছড়িতে সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত জেএসএস’ নেতা শংকামুক্ত
আবদুল মান্নান: মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার জেএসএস(সন্তু) নেতা দেবরঞ্জন চাকমা ওরফে ধীমান চাকমা (৪৮) মঙ্গলবার দুপুরে সন্ত্রাসীর ব্রাশফায়ারে গুরুত্বর জখম হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে মানিকছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধীমান চাকমা শংকামুক্ত বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। এদিকে ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
পুুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার সদরস্থ রাজপাড়া সংলগ্ন অবকাশ ভবনের সামনে ভাড়া বাসায় আগত ৩জন ভান্তেকে (ধমীয়গুরু)বিদায় দেয়ার প্রাক্কালে মোটর সাইকেলে আসা ৩জন সশস্ত্র আরোহী খুব কাছ থেকে জেএসএস নেতা দেবরান চাকমা ওরফে ধীমান চাকমা(৪৮)কে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দীন প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে শারিরিক অবস্থার বেগতিক দেখে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসক ডা. মহি উদ্দীন জানান, জেএসএস নেতা দেবরান চাকমা ওরফে ধীমান চাকমার বুকে একটি গুলিবৃদ্ধ হয়ে সেটি পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে গেছে। গুলিটি লিভারে আঘাত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে তার জীবণের ঝুঁকি রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ব্যবহৃত একটি বুলেট(কার্তুজ) উদ্ধার করেছে।
অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ঘটনার পর লোকালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে খোঁজখবর ও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তবে ঘটনার পর পর জেএসএস নেতারা সবাই আত্মগোপনে থাকায় কারো মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে আহত দেবরান চাকমা ওরফে ধীমান চাকমা লক্ষ্মীছড়ির দূর্গম জনপদ বার্মাছড়ির শুকনাছড়ির রাঙ্গাজান চাকমার ছেলে। তিনি স্ত্রী ও ২ মেয়েসহ দীর্ঘদিন ধরে মানিকছড়ি উপজেলা সদরে বসবাস করছিলেন। এ ঘটনার আগের দিন সোমবার সারা দিন লক্ষ্মীছড়িতে অবস্থান করছিলেন এবং বিভিণ্ন জনের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে।