ইউপিডিএফ’র বান্দরবান জেলা সংগঠক’কে গ্রেফতারের নিন্দা
ডেস্ক রিপোর্টার: ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা আজ ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, বুধবার এক বিবৃতিতে গতকাল রাতে ইউপিডিএফ বান্দরবান জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে কোন ধরনের আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া বান্দরবান শহরের বালাঘাটার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত ও অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দাবি করেছেন। গ্রেফতারের পর তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। ইউপিডিএফ প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এ প্রেসবার্তায় এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার গ্রেফতারের ঘটনাকে সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার যথেচ্ছঅপব্যবহারের এক জ¦লন্ত উদাহরণ বলে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন সম্প্রতি শহীদ হওয়া ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমার জন্য কেন্দ্র ঘোষিত স্মরণ সভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসুচি বান্দরবানে পালন না করতে গত কয়েক দিন ধরে ছোটনকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তবে অনেক বাদানুবাদের পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তারা তাদের অন্যায় চাপ তুলে নেন এবং অনুষ্ঠান করা যাবে বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু তারপরও কেন মধ্যরাতে তাকে তুলে নেয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
ছোটনের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে রবি শংকর চাকমা বলেন, ‘গ্রেফতারের আগে রাত সাড়ে এগারটা পর্যন্ত স্থানীয় সেনা জোন থেকে ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে কর্মসুচি বিষয়ে ঘন ঘন ফোন করা হয় এবং জোনে যেতে তাকে অনুরোধ করা হয়। স্বেচ্ছায় না গেলে তাকে নিতে তারা বাড়িতে আসবে বলে হুমকি দেয়। ছোটন এত রাতে জোনে যেতে অপারগতা প্রকাশ করে ফোন বন্ধ করে দেন। এরপর রাত ১২টার দিকে দুইটি গাড়িতে আর্মি এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ নেতা ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি এর আগে ২০১২ সালের ১১ মে একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এবং পরে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া তাকে দুর্বৃত্ত দিয়ে একবার হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল।