ঈদ ও বৈসাবির বন্ধের মধ্যে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ঢল বেড়েছ
স্টাফ রিপোর্টার: ঈদ ও বৈসাবির টানা ছুটি কাটাতে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। ঈদের প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে বেশ ভিড় জমেছে। সমাগম বেড়েছে স্থানীয়দেরও।
বছরের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ঈদুল ফিতরের এবার পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বর্ষ বিদায় ও নতুন বছর বরণ অনুষ্ঠানের বর্ণিল বৈসাবি উৎসবের সময় মিলে গেছে। ফলে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। আনন্দের মাত্রা যোগ হয়েছে দ্বিগুণ।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ বছর ঈদুল ফিতরের ছুটি ও বৈসাবি উৎসব একই সময়ে হচ্ছে। এ উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। এবার যেহেতু দুই উৎসবই এক সঙ্গে হচ্ছে তাই আশা করছি, রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক আসবে। ঈদের পরের দিন থেকে এ সংখ্যা আরও বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে।
জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের রহস্যময় গুহা, জেলা পরিষদ ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরনা সবখানেই পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। এ ছাড়া প্রচুর পর্যটক সাজেক যাচ্ছে। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের বাড়তি আয় হচ্ছে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট ম্যানেজার খোকনাথ ত্রিপুরা জানায়, ঈদের দিন ৩হাজার ৩’শ জন ও দ্বিতীয় দিন ৬ প্রায় হাজার জন আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে এসেছে। আরো তিন দিন এমন পর্যটক আসতে পারে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সুজন, আরিফ ও মাহাতাব বলেন, চার বছর পর তৃতীয় বার খাগড়াছড়িতে বেড়াতে এসেছি। বিশেষ করে সাংগ্রাই উৎসব দেখতে এসেছি। এর মধ্যে পর্যটনস্পটগুলো অনেক পরির্বতন হয়েছে। বিশেষ করে আলুটিলা মুগ্ধ করেছে। জেলা পরিষদ পার্ক, তারেং অলুটিলা বৌদ্ধ বিহার ঘুরেছি, খুব ভালো লাগছে।
খাগড়াছড়ি হোটেল গাইরিং এর ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, আমাদের হোটেলের সত্তর ভাগ রুম বুকিং হয়ে হয়েছে। পর্যটকদের চাপ ১৩-১৪ এপ্রিল আরো বাড়তে পারে।
খাগড়াছড়ি জিপ (চাঁদের গাড়ি) সমিতির লাইনম্যান মো. আরিফ বলেন, প্রতিদিন বিশটির মতো গাড়ি সাজেকে আসা-যাওয়া করলেও ঈদের ছুটির শুরুর পর সেটি বেড়েছে তিন গুণ। টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পঞ্চাশ হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করবে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি ও সাজেকে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশ।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা, রিসাং ঝরনাসহ সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আমাদের পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ কয়েক স্তরের বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। ঈদুল ফিতর, বৈসাবিসহ পাহাড়ের বর্ণিল উৎসব উপভোগে যারা আসবেন, তাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুতি রয়েছে জেলা পুলিশ।