করোনা দুর্যোগে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ পেল খাগড়াছড়ির লক্ষাধিক পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৬শ ৮৬ পরিবারে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নয় উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় এসব ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে । এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়েছে বিতরণ করা হচ্ছে নগদ অর্থ। এর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ১ হাজার ৪শ ৬৪ মেট্রিক টনের মধ্যে বিতরণ হয়েছে ১ হাজার ৮৭ মেট্রিক টনের বেশি চাল । বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরো ৩’শ ৭৭ মেট্রিক টন চাল। চাল ছাড়াও তেল, লবণ, আলু, ডালও বিতরণ করা হচ্ছে।
ওএমএস এর বরাদ্দকৃত ৪৮ মেট্রিক টনের মধ্যে ৪৫ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৪শ ৬৩ মেট্রিক টনের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৩’শ ৮৯ মেট্রিক টন। বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ৭৩ মেট্রিক টন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’-খাগড়াছড়ি কমিটির সভাপতি ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান বলেন, জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনকে ত্রাণ বিতরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ত্রাণ বিতরণে বিভিন্ন সংগঠনকে যুক্ত করা একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এছাড়া বিভিন্ন করোনা বেকার হয়ে পড়া বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, বিতরণ করা হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্যও। মহালছড়ি উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত জানান,‘ আমরা উপজেলার অন্তত ৭শ ৫০ পরিবারের মধ্যে শিশু খাদ্য পৌঁছে দিয়েছি। শিশুদের জন্য গুড়ো দুধ, প্রাটিন সমৃদ্ধ বিস্কুট, সুজি ও চিনি বিতরণ করা হয়।
পর্যায়ক্রমে প্রায় ৬ হাজার পরিবারকে শিশু খাদ্য বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক । খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান,‘ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় খাগড়াছড়ি এখনো করোনামুক্ত। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন্য জনগণকে সচেতন করেছি। একই সাথে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে স্বচ্ছতার সাথে ত্রাণ সহায়তা পৌছে দেয়া হচ্ছে। তারপরও যদি কেউ ত্রাণ সহায়তায় বাইরে থাকে সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের অবগত করলে ত্রাণ পৌছানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ত্রাণ কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’