কাল সাজেক পর্যটন সড়কে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ
পাহাড়ের আলো: রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার সাজেকে জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন ও আশীষ চাকমাকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সাজেকে নিহতদের মহদেহের কফিন বহন করে গণবিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারদুপুরে ইউনিাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রট (ইউপিডিএফ)-এর বাঘাইছড়ি ইউনিটের উদ্যোগে এ গণবিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেসবার্তায় বার্তা এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে ৭ ফ্রেব্রুয়ারি বুধবার সাজেকের পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার সময়ে মাচলং ব্রিজ পাড়া গ্রামে সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা উক্ত দুই ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর সাজেক থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।ময়না তদন্ত শেষে ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সন্ধ্যায় তাদের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ।
এরপর তাদের দুজনের মরদেহ মৈত্রী পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে আশিষ ও দীপায়ন চাকমার মরদেহের কফিন ইউপিডিএফ’র দলীয় পতাকায় আবৃত করে রাখা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিহত আশীষ ও দীপায়ন চাকমার মরদেহের কফিন সহকারে মৈত্রী পাড়া থেকে একটি গণবিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি মাচলং সাজেক এর সড়ক এলাকা প্রদক্ষিন করে মাচলং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পিসিপি, নারী সংঘ, শহীদ পরিবারবর্গ ও এলাকাবাসী নিহতদের মরদেহের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্যালুট দিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে শহীদদের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।