খাগড়াছগিতে প্রথমবারের মতো ‘সমলয় চাষাবাদ’ পদ্ধতিতে বোরো (হাইব্রিড) ধান রোপন
মো: আরিফুল ইসলাম: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বোরো (হাইব্রিড) ধানের ফলন বাড়াতে ‘সমলয় চাষাবাদ’ পদ্ধতিতে বোরো হাইব্রিড ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। নতুন এ চাষাবাদ পদ্ধতি পাহাড়ের কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তবলছড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতিতে বোরো ( হাইব্রিড) ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল। মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘সমলয় চাষাবাদ’ পদ্ধতিতে বোরো (হাইব্রিড) ধানের চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সুবিধাভোগী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল।
খাগাড়ছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কিশোর কুমার মজুমদার‘র সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম নুর মোহাম্মদ এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সবুজ আলী।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ তপন কুমার পাল বলেন, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে- কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় খাগাড়ছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন অফিসার কৃষিবিদ মো. বাছিরুল আলম, গুইমারা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওঙ্কার বিশ্বাস, রামগড় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিজানুর রহমান, মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. কামরুল হাসান, মহালছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কৃষি প্রকৌশলী দেবাশীষ চাকমা, বিনা সাব স্টেশন সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অংহ্লা মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিংহপাড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, সমলয়ে চাষাবাদে আগে কখনও বোরো ধান করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথমে বোরো ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, সমলয় চাষাবাদে সনাতন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে (গত ১৯/১২/২৩ মঙ্গলবারে) বীজ বপন করা হয়েছে। এরপর বীজ ছিটিয়ে পুনরায় অর্ধেক মাটি ও গোবর মিশ্রণ দিয়ে সমতল জায়গায় রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। বীজতলা তৈরির ৩ দিনের মধ্যে অঙ্কুর বের হয়ে যায়। ২০-২৫ দিনের মধ্যে চারা উৎপাদন করা যায়। পরবর্তীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হয়।
এর আগে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষি অফিসার ও উপ সহকারী কৃষি অফিসার বৃন্দ।