খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যা পাওয়া গেলো

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্বারে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চলাকালে ইউপিডিএফ’র প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার গোপন আস্তানার সন্ধান পায় সেনাবাহিনী। অভিযানে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, গুলি ও দলিল উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।
২১ এপ্রিল সোমবার অপহরনকৃত ৫ শিক্ষার্থীর সন্ধানে ভোর ৫টার দিকে ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় যৌথবাহিনী অভিযান চলাকালে ইউপিডিএফ’র এ গোপন আস্তানার সন্ধান পায়।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে যৌথ বাহিনীর ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফ’র প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। তালা বন্ধ দেখে সেনাবাহিনীর সন্দেহ হয় ও পাড়ার লোকজনের সাহায্যে তালা ভেঙ্গে ঘর তল্লাশি চালায়। এ সময় চাঁদার রশিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্মসহ বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্বার করা হয়। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনালে শরীফ মো: আমান হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযানে নেতৃত্ব নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে জানান,অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রতিটি ইঞ্চি জমি তল্লাশী করা হবে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১৬ এপ্রিল সকালে বৈসাবি উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ৫ শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করে আসছে সন্তু লারমার জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপন ত্রিপুরা । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।