খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য খাগড়াছড়িতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিপরিবেশগত (Agroecology) চর্চা এবং নেচার বেজড সল্যুশন (NBS) অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেলভেটাস বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (ইসিমোড)’র সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর হিলটপ গেস্ট হাউজ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বাস্তব চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় রামগড় হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক সাখাওয়াত হোসাইন প্রিন্স’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য কংজপ্রু মারমা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ওম্কার বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় কৃষিপরিবেশগত চর্চা এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এখন সময়ের দাবি। পাহাড়ি মাটির ক্ষয়রোধ, পানি সংরক্ষণ, বন ও কৃষির সমন্বিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির বিকল্প নেই। বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পাহাড়ের কৃষকদের সহনশীলতা বাড়ানো জরুরি। এজন্য সরকারি নীতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। মাঠপর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে একত্রিত করে কৃষকদের কাছে সহজ ও ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।
সভায় হেলভেটাস প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দীপ্তিময় চাকমা কৃষিপরিবেশগত ও এনবিএস বিষয়ক একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন। এছাড়া তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা’র প্রোগ্রাম অ্যাডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুকিরণ চাকমা, সূচিকা চাকমাসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।
বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ ধরনের মতবিনিময় ও অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।