খাগড়াছড়িতে জীববৈচিত্র রক্ষায় ৫ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রামের বন, বন্যপ্রাাণী ও প্রকৃতির জীববৈচিত্র রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। শনিবার ৪ নভেম্বর খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা। ৫ দিনের এ প্রদর্শনী চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রদর্শনীতে খাগড়াছড়ির দুই আলোকচিত্রী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা ও সাংবাদিক সমির মল্লিকের তোলা ৫১ টি ছবি স্থান পেয়েছে।
আলোকচিত্রী সমির মল্লিক বলেন, ‘প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। পাখি, বন্যপ্রাণী প্রাণ ও প্রকৃতির অন্যতম উপাদান। বনভূমি পরিমান কমে আসার কারণে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পাখি এখন আর দেখা যায় না। একসময় পাহাড়ের ধনেশ পাখির বিচরণ থাকলেও তা এখন প্রায় বিপন্ন। হাতিসহ অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। এই ধরনের প্রদর্শনী মানুষের মাঝে পাখি ও বন্যপ্রাণীর রক্ষায় সচেতনতা বাড়াবে।’
আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা জানান, ‘প্রদর্শনীতে বেশ কিছু বিরল পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি স্থান পাচ্ছে। দর্শনার্থীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও প্রাণী সর্ম্পকে জানতে পারবে। পার্বত্য তিন পাহাড়ি জেলা থেকে তোলা অনেক গুলো ছবি প্রথমবাবের মতো দর্শনাথীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা জানান, ‘সেভ দ্যা বায়োডাইভার্সিটি অব হিল ট্রাক্টস’ শীর্ষক এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান থেকে তোলা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বন্যপ্রাণী ও নির্সগের ছবি স্থান পেয়েছে। এই ধরনের প্রদর্শনী দর্শনার্থী শিল্পমনের তৃষ্ণা মেটাবে একই সাথে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করবে।