• May 19, 2024

খাগড়াছড়িতে পোস্টহারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রসেসিং এন্ড মার্কেটিং অফ জ্যাকফ্রুটস বিষয়ক কর্মশালা

 খাগড়াছড়িতে পোস্টহারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রসেসিং এন্ড মার্কেটিং অফ জ্যাকফ্রুটস বিষয়ক কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মিলনায়তনে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহযোগিতায়, পোস্টহারভেস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রসেসিং এন্ড মার্কেটিং অব জ্যাকফ্রুটস প্রকল্পের আওতায় কৃষক, উদ্যোক্তা ও কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত), কৃষিবিদ ড. মো. আলতাফ হোসেন’র সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালয়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ মো. নাসিম হায়দার।

উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. মুন্সী রাশিদ আহমেদ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, জয়দেবপুর, গাজীপুর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ির উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ ড. মো. শফিউদ্দিন। পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, রামগড়, খাগড়াছড়ির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. এস.এম. ফয়সাল।

পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, খাগড়াছড়ির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মো. গোলাম রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ডঃ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন প্রফেসর কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ, মো. আতিকুল ইসলাম, সিনিয়র রিসার্চ এসোসিয়েট, নিউভিশন সল্যুশন লিমিটেড, ঢাকা।

ডঃ মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী, প্রিন্সিপাল, ইনভেস্টিগেশন ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুর প্রমূখ।

এছাড়া জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা, জনাব মো. শাহেদুর রহমান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মানিকছড়ির উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ জনাব মো. হাসিনুর রহমানসহ উক্ত অনুষ্ঠানে আরও ৭ জন উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন, তারা হলেন যথাক্রমে-শাপলা দেবী ত্রিপুরা, আমেনা আক্তার কবিতা, মিতালী মারমা, বাবলী ত্রিপুরা, সঙ্গীতা ত্রিপুরা, মনিকা রোয়াজা ও প্রশান্ত চাকমা। উক্ত কর্মশালায় পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের কৃষক সহায়ক, মো. ফোরকান আলী ও এম.জুলফিকার আলী ভুট্টো অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার বক্তারা বলেন, কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল, দেশের প্রায় সব এলাকায় কম বেশি কাঁঠাল উৎপাদিত হয়ে থাকে। কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর বলে এটি ফলের মধ্যে গুণের রাজা হিসেবে পরিচিত। এই ফলটিতে অধিক পরিমাণে আমিষ, শর্করা বিভিন্ন ভিটামিন বিদ্যমান থাকায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকার, আর স্বাদের কথা অনেকেরই জানা। অপরিপক্ক অবস্থাটি প্রক্রিয়াজাতকরণের পর সংরক্ষণ করা হলে এ ফলের স্বাদ সারা বছর অনায়াসে পাওয়া যায়। অন্যরকম এই ফলটি মাত্র কয়েক মাস বাজারে পাওয়া যায় তাছাড়া ভরা মৌসুমে অনেক কম দামে কাঁঠাল বাজারে বিক্রি করা হয়, ফলে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হয়, কিন্তু এই এক্ষেত্রে কাঁচা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে আরটিসি বা রেডি টু-কুক হিসেবে প্রস্তুত করলে সহজে বছর ব্যাপী খাওয়া যায়।

কর্মশালায় বক্তারা কাঁঠালের নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে তথ্যচিত্র তুলে ধরেন।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post