খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ বই মেলা ও পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস উদযাপন উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। ২৭ এপ্রিল রোববার সন্ধায় জেলা শহরের টাউনহল প্রাঙ্গনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিরা পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে ২৩ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ বইমেলা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-রাজস্ব মোঃ শাহিন মিয়া, সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিপক কুমার শীল, সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট- স্থানীয় সরকার, তাজমীন আক্তার, সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট- (সাধারণ শাখা) নোমান ইবনে হাফিজ ও
ভ্রাম্যমাণ বইমেলা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউনিট ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান।
দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল অডিটোরিয়ামে একটি ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হয়। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮:৩০টা পর্যন্ত দর্শক-ক্রেতাদের জন্য বইমেলা উন্মুক্ত ছিলো।
ভ্রাম্যমাণ বইমেলা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউনিট ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান জানান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র একটি শিক্ষা ও সংস্কৃতিধর্মী প্রতিষ্ঠান। গত ৪৬ বছর ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বই পড়ানোর পাশাপাশি নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের উৎকর্ষ সাধন ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
সারাদেশে জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বইগুলো নিরন্তরভাবে সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালনায় একটি সুদৃশ্য ও সুপরিসর গাড়ির মাধ্যমে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা সংলগ্ন বড় শহরের সুবিধাজনক স্থানে ৪ থেকে ৫ দিনব্যাপী বইমেলা ও সাংস্কতিক উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের প্রায় দশ হাজার বই রয়েছে। অয়োজন সহযোগী হিসাবে রয়েছে মেট লাইভ ফাউন্ডেশন।
ভ্রাম্যমাণ বইমেলার ৪র্থ দিন খাগড়াছড়ি সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা এবং শেষের দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এবং প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে নির্বাচিত বই পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হয়।