খাগড়াছড়ির ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন মাইলফলক: কেজিসি স্পোর্টস সেন্টার টি-১৪ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধ: খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মাঠে খাগড়াছড়ির ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন ইতিহাসের সূচনা হলো। এই প্রথম জেলার ইতিহাসে ২৭টি ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণে এত বড়, জমকালো ও সুশৃঙ্খল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে জমজমাট ও রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো কেজিসি স্পোর্টস সেন্টার টি-১৪ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের।

ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় জেলা পরিষদের সদস্য মো. মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা।

নাটকীয় ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন বিয়া বাঁশি ওয়াদুদ ক্রিকেট একাদশ:
চরম উত্তেজনায় ভরা ফাইনাল ম্যাচে স্পোর্টস একাদশ দীঘিনালা-কে মাত্র ১ উইকেটে পরাজিত করে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিয়া বাঁশি ওয়াদুদ ক্রিকেট একাদশ।
ম্যাচের ফলাফল:স্পোর্টস একাদশ দীঘিনালা – ১৩২/১০
বিয়া বাঁশি ওয়াদুদ ক্রিকেট একাদশ – ১৩৩/৯
শেষ বল পর্যন্ত গড়ানো এই লড়াই মাঠে উপস্থিত হাজারো দর্শককে শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনায় ভাসিয়ে নেয়। প্রতিটি রান ও উইকেটে গর্জে ওঠে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা মাঠ।
এ ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন-জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার,জেলা পরিষদের সদস্য বঙ্গমিত্র চাকমা,জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য আনিসুল আলম আনিক,মাদল বড়ুয়া সহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মাসব্যাপী ক্রিকেট উৎসব:
মাসব্যাপী চলা এই টি-১৪ টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচ ছিল রোমাঞ্চকর, উত্তেজনায় ভরপুর ও শান্তিপূর্ণ। মাঠে ছিল ক্রিকেটারদের প্রাণবন্ত লড়াই, গ্যালারিতে দর্শকদের উচ্ছ্বাস আর স্থানীয় মানুষের খেলাধুলার প্রতি অদম্য ভালোবাসা।

তরুণদের প্রতিভা বিকাশে অনন্য উদ্যোগ:
এই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য ও ক্রীড়া ও যুব বিভাগের আহ্বায়ক মো. মাহাবুব আলম। তাঁর উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় খাগড়াছড়ির তরুণ প্রজন্ম পেয়েছে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশের এক দুর্দান্ত মঞ্চ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ ধরনের সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ক্রীড়া আয়োজন তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পাশাপাশি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, শৃঙ্খলা ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে। তারা এমন সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আয়োজকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও নিয়মিত ক্রীড়া আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

খেলা নয়, ক্রীড়া উন্নয়নের অনুপ্রেরণা:
এই টুর্নামেন্ট শুধু একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা নয়-এটি খাগড়াছড়ির ক্রীড়া উন্নয়নের পথে একটি সাহসী ও অনুপ্রেরণামূলক পদক্ষেপ। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন খাগড়াছড়ির ক্রীড়াঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধ ও এগিয়ে নিয়ে যাবে।