খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছর পূর্তি: স্মারক গ্রন্থ ‘উজ্জীবন’র মোড়ক উন্মোচন

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য জেলার সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল ও অনন্য অধ্যায়ের নাম খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব। চার দশকের দীর্ঘ পথচলা, সংগ্রাম ও সাফল্যের স্মারক হিসেবে ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত হলো প্রেসক্লাবের প্রথম স্মারক গ্রন্থ ‘উজ্জীবন’। এ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে উৎসবমুখর পরিবেশে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম রাজু ও জয়ন্তী দেওয়ান-এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য। এরপর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের চার দশকের গৌরবময় পথচলার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “স্মারক গ্রন্থ ‘উজ্জীবন’ শুধু একটি প্রকাশনা নয়; এটি এই অঞ্চলের ইতিহাস, সাংবাদিকতার বিকাশ ও সংগ্রামের এক অনন্য দলিল। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বজায় রাখতে সাংবাদিকদের গঠনমূলক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হেমদা রঞ্জন ত্রিপুরা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, ইসলামি আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা কাওসার আজিজী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, খাগড়াছড়ি জেলার সকল উপজেলার প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদক, জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছরের ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও অর্জনের ইতিহাস সংরক্ষণে ‘উজ্জীবন’ স্মারক গ্রন্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুপ্রেরণা, প্রেরণা ও দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সাংবাদিকতার গৌরবময় অতীতকে স্মরণ করার আবেগঘন পরিবেশ।