খাগাড়ছড়ির স্বনির্ভর বাজারের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সাথে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভা

শেয়ার করুন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি সদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো: জায়েদ-উর-রহমান অয়ন স্বনির্ভর বাজারের নবগঠিত কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে স্বনির্ভর বাজারে অনুষ্ঠিত এই সভায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও বাজার কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় বাজার কমিটির পক্ষ থেকে বাজারের সার্বিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা ও জনসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ছিল—বাজারে নাইট গার্ড নিয়োগ, পাবলিক টয়লেট স্থাপন, বাজারের রাস্তা সংস্কার, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপ-অধিনায়ক মেজর মো: জায়েদ-উর-রহমান অয়ন বলেন, “বাজারের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। স্থানীয় মানুষের সমস্যা সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।

তিনি আরও জানান, বাজার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে বিজিবি সেক্টর কর্তৃপক্ষও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি পুলিশ বিভাগও নিয়মিত টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার এসআই মিঠুন সরকার, বাজার কমিটির সভাপতি রনিক ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি ও সদস্যবৃন্দ। সভায় তারা বাজারের টেকসই উন্নয়ন ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নিয়মিত সভা ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।

সভায় খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. খাদেমুল ইসলাম, পিএসসি-এর পক্ষ থেকে বাজারের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে দুটি সিসি ক্যামেরা উপহার প্রদান করা হয়। উপস্থিত বাজার কমিটির সদস্যরা সেনাবাহিনীর এই মানবিক উদ্যোগের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপ-অধিনায়ক আরও বলেন, “বাজার কমিটির উত্থাপিত সব দাবিগুলো আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় জনগণের সহায়তা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ঐক্য, সহযোগিতা ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।”

সভা শেষে বাজার কমিটির সভাপতি রনিক ত্রিপুরা সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই ধরনের সহযোগিতা ও মতবিনিময় বাজার এলাকার উন্নয়ন এবং জনসেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”

তিনি সকলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্বনির্ভর বাজারকে একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও আধুনিক বাজার হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।