খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ, দীঘিনালা-লংগদু সড়ক বন্ধ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: গেল বছর তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে সেনা কর্মকর্তা’সহ ২শতাধিক লোকের প্রাণহানির ঘটনা ভুলতে না ভুলতে এবারও নতুন করে পাহাড় ধসের আশংকায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীরা। খাগড়াছড়িতে টানা বর্ষনে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা শহরের শালবাগান এলাকায় পাহাড় ধসে বেস কিছু বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে কোন প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও আতংকিত পাহাড়ে ঝুকিতে বসবাসকারীরা। এদিকে সড়কের উপর পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ির সাথে রাঙ্গামাটি লংগদু সড়ক বন্ধ রয়েছে। প্রাণহানি এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত তিন দিন ধরে টানা বর্ষনে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। টানা বর্ষনের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে রয়েছে পাহাড় ধসের আশংকা। টানা বর্ষনের ফলে ঘর থেকে বের হতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ক্ষেতের ফসল। মঙ্গলবার পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকায় হাট-বার (বাজার বার)। হাট’বারকে সামনে রেখে দুই/এক দিন আগ থেকে বাজারে বিক্রির উদ্যেশ্যে ক্ষেতের ফসল তুলে রাখে পাহাড়ি কৃষকরা। প্রত্যন্ত এলাকায় এসব কৃষকের বসবাস হওয়ায় অনেক সময় দেখা গেছে তাদেরকে খাল (পাহাড়ী ছড়া) পার হয়ে বাজারে আসতে হয়। বর্ষা মৌসুমে খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হত-দরিদ্র এসব কৃষকের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে।
সোমবার দিনভর বৃষ্টিতে চারিদিক ছিল অন্ধকার। সারাদিন ঝরেছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সাথে বাতাসের তীব্রতায় গ্রামীণ জনপদের গাছপালা ভেঙে পড়েছে রাস্তাঘাটে। সকাল থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহনও তেমন চলতে দেখা যায়নি। দমকা হাওয়ায় ও বৃষ্টির কারণে আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ অনেটা স্তদ্ধ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, মোল্লাপাড়া, শালবাগান, মুসলিমপাড়া ও মুহাম্মদপুর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ের ঢালুতে ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। সচেতন মহল বলছেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই প্রশাসনের উদ্যেগে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া না গেলে যে কোন সময় অতীতের মত ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।