খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে চলছে বৈসাবি ও বর্ষ বরণ উৎসব

পাহাড়ের আলো: খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসব চলছে। ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু, মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই, চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু এবং বাঙ্গালিদের চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ বরণ। মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ে এ উষ্ফসব শুরু হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বৈসাবি উৎসব উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। উদ্বোধনের পরপরই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বাহারি রঙ্গের পোশাক সজ্জিত পুরো শহরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। উষ্ফসব ছড়িয়ে পরে প্রত্যন্ত পাড়া, মহল্লায় পাহাড়ি পল্লীগুলোতে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠি যাতে সম্প্রীতির মাধ্যমে বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যা”েছ। পার্বত্য চট্রগ্রামে এক সময় সমস্যা ছিল, বর্তমানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে পাহাড়ে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে পাহাড়ে শান্তির সু-বাতাস বইছে।
এদিকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের খাগড়াপুর সালকাতাল ক্লাবের আয়োজনে খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ প্রদীপ প্রজ্জ্বল,ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলা ও অতিথি বরণের মধ্য দিয়ে বৈসু উপলক্ষে সপ্তাহ ব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসব সকল জাতী, ধর্মের মানুষের উৎসব। সকলে মিলেমিলে ঐহিত্যকে ধারনের মধ্য দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। একই সাথে সংস্কৃতি চর্চাসহ ধর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং ধারণ করে জাতি-ধর্ম ও মানুষের মধ্যে সৌহার্ধ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিকল্প নেই বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। তাই সকলকে ঐতিহ্যকে তুলে ধরে নিজের পথচলার আহ্বান জানান প্রবীনরা। এর আগে আগত অতিথিদের উত্তোরীয় দিয়ে বরণ করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী গড়াই নৃত্যসহ নানা পরিবেশনা তুলে ধরা হয় এতে। এতে বিভিন্ন বয়সী ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাংলা নববর্ষ বরণের নানা আয়োজন।