খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বছরের বই বিতরণ
দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের বই বিতরণ শুরু হয়েছে। বছরের প্রথম দিন ১জানুয়ারি শনিবার সকালে জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নস্থ হামাচাং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঞঊঝঈঙ এর সহযোগিতায় জাবারাং কল্যাণ সমিতি এর ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ইউনিফর্ম ও বই বিতরণ অনুষ্ঠান করা হয়। হামাচাং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, শিক্ষিত সমাজ ও সুস্থ জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাই জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সেজন্য আমাদের পরিশ্রমও করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া কোন ফল আশানুরূপ করা যায় না। তাই প্রাথমিক শিক্ষা স্তরকে আগে মানসম্মত করে তুলতে হবে। সেই সাথে অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পূর্ণ ভূষণ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান শিক্ষক গোরামনি ত্রিপুরার সঞ্চালনায় জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, ঞঊঝঈঙ এর প্রতিনিধি অমর স্মৃতি চাকমা, জাবারাং এর প্রকল্প সমন্বয়কারী বিনোদন ত্রিপুরা, শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী নবলেশ্বর দেওয়ান লায়ন এসময় বক্তব্য দেন।
বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ঞঊঝঈঙ এর সহযোগিতায় স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়। সাথে নতুন বইও তুলে দেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। এসময় প্রধান অতিথি স্কুলের উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদানের আশ্বাস দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয় প্রকাশ ত্রিপুরা, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকবৃন্দ।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলার সরকারি ও বেসরকারি মিলে সাত শতাধিক প্রাথমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় ও ১২২ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৮১০ শিশুর মধ্যে ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৭টি বই বিতরণের কথা রয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৪৯ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছে নতুন বই। এছাড়াও এ বছর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা মাতৃভাষার সকল বই পাচ্ছে পাহাড়ি শিশুরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানিয়েছেন, খাগড়াছড়িতে বইয়ের কোনো ঘাটতি নেই। সব শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে। একই সাথে জেলার বিভিন্ন উপজোয় বই বিতরণ করা হয়েছে।