গুইমারায় কিশোরী নির্যাতন: ১০ দিন পর থানায় মামলা, বখাটে আটক
স্টাফ রিপোর্টার: ধর্ষণের চেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতনের বিচার না পেয়ে ১০শ্রেণীর এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার করার চেষ্টার পর মামলা হলে বখাটে যুবককে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ। ২৫ডিসেম্বর নির্যাতনের ঘটনার ১০দিন পর ৩জানুয়ারী থানায় মামলা হয়েছে। গুইমারা উপজেলাধীন বড়পিলাক ৫নং এলাকার বাসিন্দা মোঃ তাজুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া কন্যা হাবিবা আক্তার(১৬) প্রতিদিনের মত ২৫ডিসেম্বর দুপুরে গোসল করতে গেলে আগ থেকে উৎপেতে থাকা প্রতিবেশী শাহজাহান গাজীর বখাটে পুত্র মোঃ শাহপরান(২৫)আকষ্মিক ভাবে হাবিবার উপর আক্রমন চালিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। হাবিবার চিৎকার শুনে তার মা সহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে শাহপরান কৌশলে পালিয়ে যায়। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে কাউকে জানাতে নিষেধ করেন শাহপরানের বাবা এলাকার প্রভাবশালী শাহজাহান গাজী। বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় দীর্ঘ ৬দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন বিচার না পেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে ১জানুয়ারী সন্ধ্যায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় হাবিবা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিবাকে গ্রাম্য চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসার পর বর্তমানে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে বলে হাবিবার পিতা মোঃ তাজুল ইসলাম জানান।
মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মহিউদ্দিন জানান, ১জানুয়ারী রাতে আশংকাজনক অবস্থায় হাবিবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে, তবে বিষ খাওয়া রোগীকে ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না বলে জানান তিনি।
৩জানুয়ারী সকালে নির্যাতিতার পিতা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে গুইমারা থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভরাটে শাহপরানকে আটক করে পুুলিশ। এব্যাপারে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন টিটো জানান, আটককৃত সিএনজি চালক শাহপরানের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক নারী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। হাবিবার পিতার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে শাহপরানকে আটক করে পুলিশ। এব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০১, তারিখঃ ০৩.১২.২০১৭ইং। গুইমারা শহীদ লেঃ মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাকিম উদ্দিন শেখ জানান, হাবিব ২০১৮সালের বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা ও মেধাবী ছাত্রী। তাকে নিযার্তনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন তিনি। বখাটের পিতা শাহজাহান গাজী জানান অভিযোগ পাওয়ার পর ছেলেকে মারধর করে শাসন করেছি। কিন্তু বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবী করলেও ছেলের বিরুদ্ধে একাধিক নারী নির্যাতনের অভিযোগ ও মামলা সত্যতা শিকার করেন তিনি।
বড়পিলাক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, আটককৃত শাহ পরান একজন লম্পট গত কিছুদিন আগে এধরনের ঘটনায় তাকে গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকায় ঘুরানো হয়। এছাড়াও সামাজিক ভাবে একাধিকবার বিচার ও মুছলেকা দিয়ে রেহাই পাওয়ার পরও তার চরিত্রের পরিবর্তন ঘটেনি। এধরণের মানুষের কাছে সমাজের কেউ নিরাপদ নয় বলে দাবী করে শাহপরানের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চায় এলাকাবাসী।