চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চৌধুরীর ইন্তেকাল

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম অফিস: চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি,বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর,ফটিকছড়ি থেকে দুইবার নির্বাচিত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ নুরুল আলম চৌধুরী (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন)। ২৭ জানুয়ারী রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ পুত্র ১ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।  ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী তাঁর মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি গত কিছুদিন ধরে পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আগামীকাল ২৮ জানুয়ারী সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজদি ময়দান,দুপুর ২টায় ফটিকছড়ি কলেজ মাঠ এবং সর্বশেষ বিকাল ৪টায় নিজ বাড়ী লেলাং এম আর সি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। মরহুম নুরুল আলম চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগকে প্রতিষ্ঠিত করা থেকে শুরু করে তিনি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

এর পর তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে ফটিকছড়ি থেকে দুইবার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি ওমানের রাস্ট্রদুতের দায়িত্ব পালন করেন। রুপালী ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে আওয়ামী রাজনীতিতে ছিলেন তরুণ তেজস্বী রাজনীতিবিদ। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে অজাতশত্রু এই ব্যাক্তিত্বের রয়েছে বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার পর খুনী মোস্তাক বেতার ভাষণে দাবী করেছিলেন , “ঐতিহাসিক কারনে শেখ মুজিবকে(খুনীর ভাষায়) হত্যা করা হয়। তখন নুরুল আলম চৌধুরী তরুণ এমপি।

এমপিদের নানাভাবে চাপ দিয়ে জড়ো করে প্রথম বৈঠকে বসেন খুনী মোস্তাক। সেখানেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মোস্তাক। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে যান তরুণ এমপি নুরুল আলম। তিনি মোস্তাকের মুখের উপর জানতে চান, কোন ঐতিহাসিক কারনে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তা আপনাকে জবাব দিতে হবে।

এদিকে বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ বিভিন দলের রাজনীবিদিগন। শোক প্রকাম করেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন,চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন,উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ ছালাম, আওয়ামীলীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মহসিন,ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, ফটিকছড়ির উপজেলার চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, মেয়র ইসমাঈল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার মহাজন, আলহাজ্ব ফখরুল আনোয়ারসহ অনেকেই।