চন্দ্রঘোনায় লিচু’র ফলন ভালো
শান্তি রঞ্জন চাকমা, রাঙ্গুনিয়া: রসালো মধুর ফল লিচু চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া ও কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন উপজেলার উপশহরখ্যাত চন্দ্রঘোনায় সিএনজি ট্যাক্সি, পিকআপ ভর্তি করে লিচু বিক্রির জন্য আনা হয়। চন্দ্রঘোনা, লিচুবাগান, ফেরীঘাট, দোভাষীবাজার এলাকায় দৈনিক প্রায় ৬/৭ লক্ষ লিচু প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাহাড়ের উৎপাদিত দেশী জাতের লিচুতে রাঙ্গুনিয়া জুড়ে সর্বত্র সয়লাভ হয়ে গেছে। ক্রেতারা চাহিদা মাফিক লিচু ক্রয় করছেন। দেশীয় ভাল মানের বড় লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। ছোট জাতের লিচু ৯০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। লিচুর ন্যায্যমূল্য ও বেচাবিক্রি ভাল হওয়ায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছে।
লিচুবাগানের ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পরিমিত আবাহাওয়া থাকায় পাহাড়ে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক থেকে ক্রয় করে হাটে লিচু বিক্রি করে মোটামুটি লাভ জনক হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। চন্দ্রঘোনা এলাকায় ভাসমান ব্যবসায়ী সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লিচু ব্যবসায়ী রয়েছেন। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৪/৫ হাজার লিচু বিক্রি করেন। শুধুমাত্র চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানে দৈনিক লিচু বিক্রি হচ্ছে ৮ লক্ষ টাকা। পাহাড়ে বিভিন্নস্তরে চাঁদা দেয়ার কারনে খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভবান কম হচ্ছে।
লিচু বিক্রেতা জয় তংচংগ্যা জানান, ওয়া¹া এলাকায় প্রচুর লিচু ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে শতশত কৃষক লিচু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভবান হয়েছে। তার বাগানে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গাছে লিচু ফলন হয়েছে। সব বিক্রি করতে পারলে তিনি লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে জানান। জুমপাড়ার লিচুর কৃষক ইন্দ্র কুমার চাকমা জানান, একটি গাছে সাড়ে তিন হাজার লিচু ফলন হয়েছে। প্রতিশত লিচু ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি করেছেন। এলাকায় লিচুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সুমিষ্ট লিচু হলে ক্রেতারা দাম বেশী দিয়ে হলেও ক্রয় করছে।
ব্যবসায়ী জসিম জানান, চায়না-৩ লিচু কিছু কিছু হাটে আসতে শুরু করেছে। আরো কয়েকদিনের মধ্যে চায়না-৩ জাতের লিচু বাজারে সয়লাভ হবে। এ জাতের লিচুর দাম একুট বেশী। দেশী জাতের লিচু থেকে চায়না-৩ আকারে বড় এবং সুমিস্ট। একশত বড় আকারের চায়না-৩ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশত টাকা। ছোট আকারের লিচুগুলো দামে একটু কম। ক্রেতা মোহাম্মদ মুছা জানান, মধুর ফল মাসে লিচু ক্রয় করছি সাধ্যমত। গতবছরের চেয়ে এবছর লিচুর দাম একটু বেশী। দাম বেশী হলে দেশী জাতের লিচু খেতে খুব সুস্বাধু।