ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া বিশাল চাকমাকে মহালছড়ি ইউএনও’র আর্থিক সহায়তা

শেয়ার করুন

মহালছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ২নং মুবাছড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত মনাটেক গ্রামের নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে বিশাল চাকমা। দু’ভাই বোনের সংসারে ছোট সে। তার বড় বোন প্রশিকা চাকমা মহালছড়ি সরকারি কলেজে ডিগ্রি পড়ছে।

গত দু’বছর ধরে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বিশালের বাবা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আয় থেকে দূরে আছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝে একসময় পড়ালেখা ছেড়ে দিতে হয় এমন অবস্থা। কিন্তু সকল প্রতিকূলতাকে শক্তিতে রূপান্তরের অদম্য চেষ্টার ফলে ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায়(সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) উত্তীর্ণ হয় বিশাল। ভর্তি সুযোগের খবরে পরিবারে আনন্দের পাশাপাশি অনিশ্চয়তার শংকা বিরাজ করছিল। বিশালের ডুয়েটে ভর্তির অনিশ্চয়তার খবরে তার পাশে হাত বাড়িয়ে দেন মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান।

১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে তিনি বিশালকে তাঁর নিজস্ব কার্যালয়ে ডেকে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন উপদেশ দেন। এ ছাড়াও ভবিষ্যতেও প্রয়োজনমত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।  প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিশাল চাকমা, “এমন সংকটে পাশে থাকার জন্য মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ইউএনও’র প্রত্যেকটি উপদেশ অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে একজন সুনাগরিক হিসেবে যেন এ দেশের সুনাম বয়ে আনতে পারে সেজন্য সবাই তাঁর জন্য আশির্বাদ ও দোয়া কামনা করেন তিনি।

এ সময় তাঁর কার্যালয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা সলিল চাকমা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা প্রমিত কুমার তালুকদার ও ৩নং মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা উপস্থিত ছিলেন।