• November 22, 2024

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু

 ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু

দহেন বিকাশ ত্রিপুরা: ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসু উৎসবের আজ প্রথম দিন অর্থাৎ হারি বৈসু। দিনটি উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে  কনোনামুক্তি ও বিশ্ব শান্তি কামনায় নতুন বৎসরকে স্বাগত জানাতে জলে তৈবৌংমা (জলদেবী বা গঙ্গা/গঙ্গী) র পূজা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল ২০২১খ্রি.) সকালে ত্রিপুরাদের হারি বৈসু দিনে জেলা সদর খাগড়াপুর  এলাকায় খাগড়াছড়ি নদীতে ভিন্নধর্মী একটি আয়োজন করেন। এ সময় গঙ্গা পূজায় অংশগ্রহণ করেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা-এমপি’র সহধর্মিণী মল্লিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী শেফালিকা ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক অনন্ত কুমার ত্রিপুরা, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও নারী নেত্রী শাপলা দেবী ত্রিপুরা’সহ স্থানীয় এলাকার নারী পুরুষ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, ত্রিপুরা নারীরা (বিশেষ করে) বৈসুর দিনগুলোতে নিজে, সমাজে, পরিবার, দেশ ও বিশ্ব শান্তি কামনায় সকালে নদীতে গিয়ে স্নান করে নদীর পাড়ে (জল লাগোয়া বালুচরে) কলাপাতা ভিসিয়ে তাতে ফুল সাজিয়ে তৈবৌংমা (জলদেবী বা গঙ্গা/গঙ্গী)কে পূজা দিয়ে প্রণাম করা হয়। ফুল দিয়ে তৈবৌংমা পুজায় কেউ কেউ মোমবাতি বা চেরাক বাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে থাকে। এ সময় যে যার মতো বর প্রার্থনা করে থাকে।

এছাড়াও সুন্দর একটা বাঁশের ডগার মধ্যে কাঁচা হলুদ, সুকৈ (যার বাংলা ঘিলা) ও পবিত্র (বিশুদ্ধ) পানি দিয়ে পবিত্র মাটির পাত্র বা স্টিলের পাত্রে রাখা হয়। যা দিয়ে পরিবার ও আত্বীয় স্বজন সকল সদস্যদের মাথায় বা শরীরে ছিটিয়ে/ছিটানো হয়। যাকে ত্রিপুরা ভাষায় বলা ককমা বতৈ

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post