নিরাপত্তা চেয়ে মিতালি চাকমার সাংবাদিক সম্মেলন
২৩ অক্টোবর সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সাহায্য প্রার্থনা জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলার কোতয়ালী থানার সাপছড়ি ইউনিয়নের বধিপুরস্থ ধনমনি চাকমার মেয়ে ও রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ছাত্রী মিতালী চাকমা জানান, ইউপিডিএফ কর্মীরা তাকে তাদেও দলে ভেড়াতে কয়েকবার চেষ্টার পরেও সক্ষম না হওয়ায় সর্বশেষ গত ১৭ আগষ্ট সকাল সোয়া দশটার দিকে তাকে নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রেও মুখে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
তারা প্রথমে তাকে ধর্মঘর ও পরে ঝবিতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্দি করে রাখে। এভাবে প্রায় ১৩ দিন তাকে আটকে রাখার পর “গর্ভবতী করলে উপায়ন্তর না পেয়ে তাদের হয়ে কাজ করবে” এমন ধারনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পাহারা দেওয়া সশস্ত্র কর্মীরা ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা ও শান্তিদেব চাকমা সাথে আলোচনা করে তাকে গত ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধর্ষন করে। এসময় বেশ কয়েকবার পালানো ও আত্মহতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় মিতারী চাকমা।
এদিকে গত ১৯ নভেম্বও গভীর রাতে সেনাবাহিনীর টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাকে রেখেই গাঁ ঢাকা দেয় সশস্ত্র প্রহরীরা। এসময় কোনরকমে সেনাবাহিনীর সামনে এসে বিস্তারিত খুলে বললে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটির কোতয়ালী থানায় সোর্পদ করে এবং সত্যতা যাচাইয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে চট্টগ্রামে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে প্রানভয়ে সেখান থেকে এক আতœীয়ের সাথে পালিয়ে তিনি খাগড়াছড়ি চলে আসেন বলেও জানান। এদিকে তিনি খাগড়াছড়ি চলে আসলেও তার পরিবারের ওপর ইউপিডিএফে নির্যাতন করার চিন্তা থেকে এবং তাদের সন্ত্রাসীদেও হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করেন।
এছাড়া তিনি প্রশাসনের নিকট তার সাথে বিনা অপরাধে ঘটে যাওয়া অন্যায় ও অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেছেন।