• December 27, 2024

পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বায়িত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণার করতে হবে- অংগ্য মারমা

ডেস্ক রিপোর্ট: বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বায়িত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আপোষহীন লড়াই সংগ্রামে আন্দোলনকামী পার্টি ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ৩০ জুন  শনিবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদর স্বনির্ভর বাজার ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।  সমাবেশে জেলা বিভিন্ন স্থান থেকে দেড় হাজার ছাত্র-যুব-নারী ও বিভিন্ন শ্রেণী জনতা অংশগ্রহণ করেন।

পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল কর; সংবিধানে স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতি দাও! সেনা ক্যম্প সম্প্রসারণ, ভূমি বেদখল, যৌথ অভিযানের নামে ধরপাকড়, হয়রানি, লুটপাট, নারী নির্যাতন, খুন-গুম-অপহরণ বন্ধ কর এবং ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা তুলে নাও এই স্লোগানে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি পলাশ চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রতন স্মৃতি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা, পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক অবনিকা চাকমা প্রমূখ।

সমাবেশ অংগ্য মারমা বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মাধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন হওয়ার পর ৭২ সালে সংবিধানে শেখ মুজিবুর সরকার এই দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংখ্যা লঘু জাতিসত্তামূহের বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। তীব্র প্রতিবাদে মূখে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ২০১১ সালে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীতে এসে ফ্যাসিস্ট আওয়ামি লীগ সরকার শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের মতকে উপেক্ষা করে তা বাস্তবায়ন করেছে এবং সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বহাল রেখে ১৯৭২ সালে সংবিধানে ধর্র্মনিরপেক্ষার স্তম্ভকে পদদলিত করে জাতিসত্তাসমূহ ও অন্যান্য ধর্মকে দ্বিতীয় শ্রেণী নাগরিক ও ধর্মে পরিণত করেছে।  সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীদের সকল ধরণের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সু-সংগঠিতভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশের শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি স্বনির্ভর বাজার থেকে শুরু করে নারাঙহিয়া রেড স্কোয়ার হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ারে যেতে চাইলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পুলিশের বাধা প্রদান করলে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশে প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী মুখ-মূখী অবস্থান নেয় এবং বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে সেখান থেকে ফিরে নারাঙহিয়া রেড স্কোয়ার রাস্তা দিয়ে উপালী পাড়া-মধ্য খবংপুয্যা-দশবল হয়ে আবার স্বনির্ভর বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশ শেষে বাড়ীতে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি জেলা মহালছড়ি উপজেলা বদানালা এলাকায় সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীরা অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্যে করে ফাকা গুলি ছুড়ে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post