ফটিকছড়িতে আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে হেফাজত নেতার সংবাদ সম্মেলন
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাটে এহসান সোসাইটি নামের একটি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্টানের টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধান অভিযুক্ত হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ছলিম উল্লাহ। ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে উপজেলার নাজিরহাটের তাঁর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
এসময় চার পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে সলিম উল্লাহ বলেন, ‘এহসান সোসাইটির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে একটি পক্ষ কাল্পনিক তথ্য পরিবেশন করে মিথ্যাচার করে আসছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কিছুদিন এহসান সোসাইটির পাক্ষিক সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পরে অনিয়ম দেখতে পেয়ে কেন্দ্রীয় অফিসকে অবহিত করণের মাধ্যমে ২০১৩ সালে দায়িত্ব
থেকে পদত্যাগ করেছি। এছাড়া দায়িত্ব পালনকালে, আমি ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব, আর্থিক লেনদেন কোনটাতে জড়িত ছিলাম না। মূলত সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করতেন অফিসের দুই কর্মকর্তা মুনির বিন হাসান ও মাওলানা জাবের আহমদ। আমার পদত্যাগের পর এহসান সোসাইটিতে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সেখানে আমাকে জড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।
এহসান এস নিয়ে বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতির মূল ঘটনা উদঘাটন না করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে একটি কুচক্রী মহল। আসলে তাঁদের উদ্যেশ্য হচ্ছে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা।’ এহসান এসের অপর সদস্য মাওলানা জুনাঈদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে চলে গিয়েছে। বর্তমানে কিছু সম্পদ ও নগদ টাকা রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের কিছুটা হলেও ক্ষতি পূরণ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাজিরহাট মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক মাওলানা
জুনাঈদ বিন জালাল, মুহাম্মদ ইসমাইল, নাজিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সোলাইমান, যুবদল নেতা হাসানুল কবির, যুবলীগ নেতা হাসমত উল্লাহ, হাফেজ ইসমাইল প্রমূখ। উল্লেখ্য, এহসান এস সোসাইটির ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়কারী মাওলানা সলিম উল্লাহকে আসামী করে গত ৯ আগস্ট ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকরা।