ফটিকছড়িতে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ আটক ৩
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে আবিদা সুলতানা প্রমি (২৫) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড়টার দিকে পাইন্দং ইউনিয়ের হাইদচকিয়া গ্রামের চৌং বাড়ির মরহুম খোরশেদ মাষ্টারের ঘর থেকে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে। নিহত আবিদা সুলতানা চৌধুরী বাড়ীর মরহুম খোরশেদ মাষ্টারের সৌদি প্রবাসী ছেলে আবু তৈয়বের স্ত্রী। নিহতের ভাই কাজী তমাল ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার দেবর মুবিন ফোন করে জানান যে, আমাদের বোন স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমরা তাৎক্ষণাৎ ছুটে গিয়ে দেখি তার গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত দাগ এবং তারা তড়িগড়ি করে কাপন-দাপনের ব্যবস্থা করছে। আমরা সাথে সাথে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে থানায় যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বোনের বিয়ে হয়েছে প্রায় আট বছর। প্রায়ই শ্বাশুড়ী এবং দেবররা তাকে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করতো। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, গভীর রাতে শ্বাশুড়ী এবং তিন দেবর মিলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’ পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত সুলতানার সাথে শ্বাশুড়ী ও সাহদাত (৩২) ও তার স্ত্রী, মুবিন (৩৪), সাজ্জাদ (২৮) নামে তিন দেবর একই সাথে বসবাস করত। ঘটনার পর থেকে দেবর সাহদাত ও মুবিন পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, নিহত আবিদা সুলতানা প্রমি হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট ধলই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়ার কাজী হেলাল উদ্দিনের প্রথম মেয়ে। দীর্ঘ আট বছর পূর্বে ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ের হাইদচকিয়া গ্রামের চৌং বাড়ির মরহুম খোরশেদ মাষ্টারের প্রথম পুত্র আবু তৈয়বের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার এস.আই মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বাশুড়ী, ঝাঁ ও এক দেবরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’