ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে ইমরুল ইসলাম রাফি নামের এক ছাত্রলীগ নেতা নিজ ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তদের মারধরে রাফির বাবা নজরুল ইসলাম এবং মা রোকেয়া বেগম আহত হন। রাফিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার দিববাগত রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার সুন্দরপুর ছোট্ট সিলিনিয়া গ্রামের আব্বাস সিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এ দিকে রাফিকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে সকালে ৮টা হতে ১০ পর্যন্ত উপজেলা সদরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের পেলাগাজী দিঘী এলাকায় গাছের গুড়ি পেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে ওই হামলার জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারে আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা। গ্রেফতারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। রাফির পরিবার এটাকে ডাকাতির ঘটনা বললেও পুলিশ এবং দলীয় নেতাদের দাবী রাজনৈতিক কোন্দলের কারনে এ হামলা হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলামের অনুসারী রাফি আসন্ন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী।
রাফি একই এলাকার নজরুল ইসলাম সিকদারের ছেলে। উপজেলার পাশাপাশি উত্তর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম দফতর সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
রাফির স্বজন মো. ইকবাল হোসাইন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে বাড়িতে পড়েন রাফি। বাড়িতে বাবা-মাও ছিলেন। পরে মধ্যরাতে ৮ থেকে ১০ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে রাফিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে রাফির মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম হয়েছে। চমেক হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবা চলছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রাফির ওপর এ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সাহেদুল ইসলাম শাহেদ বলেন,ফটিকছড়ির আইনশৃংখলা পরিস্থিতি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অবনতি হয়েছে। সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের একজন নেতার উপর হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা তারই প্রমান। সাহেদ বলেন রাফির উপর হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ফটিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসুচী ঘোষনা করা হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহামুদ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রাফির ওপর এ হামলা হয়েছে বলে তিনি ধারণা করেন। খুব শীঘ্রই হামলা কারীদের গ্রেফতার করা হবে।