বিজয় দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীছড়ি জোনের তত্বাবধানে চক্ষু শিবির ও শীত বস্ত্র বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার: সুস্থ্য চোখে দেখি সুন্দর পৃথিবী এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির জেলার লক্ষ্মীছড়ি জোনের বাইন্যাছোলা এলাকার অন্তর্গত সেনাবাহিনী নির্মিত বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে মানবতার সেবা ও সহযোগীতাকে প্রাধান্য দিয়ে দুস্থ্য ও অসহায় মানুষের চোখে আলো ফিরে পেতে পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি (বিজেএকেএস) কুমিল্লা। ১৭ ডিসেম্বর সোমবার লক্ষীছড়ি, মানিকছড়ি এবং ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তত ২৫৩ জন পাহাড়ি-বাঙ্গালীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতি, কুমিল্লা এর সহায়তায় চোখের ছানি অপারেশন করা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্যে ১৯ জন দরিদ্র চক্ষুরোগীকে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হবে। চোখের ছানি অপারেশন এবং উন্নত চিকিৎসা শেষে ২০ ডিসেম্বর জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি (বিজেএকেএস), কুমিল্লা এর তত্ত্বাবধানে নিজ এলাকায় পৌছে দেয়া হবে। উল্লেখ্য বিগত ১৮ অক্টোবর লক্ষ্মীছড়ি জোন কর্তৃক আয়োজিত চক্ষু শিবিরে ব্যাপক সাড়া এবং আক্রান্ত রোগীদের সুলভ চিকিৎসার মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তারই ধারা বজায় রেখে বিজয় দিবস উপলক্ষে পুনরায় এই চক্ষু শিবির আয়োজনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
জোন কমান্ডার লক্ষীছড়ি এবং লক্ষীছড়ি জোনের মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন মোস্তফা তারেক আজিজ এর তত্তাবধানে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতি, কুমিল্লার বিশেষজ্ঞ দল চিকিৎসক ক্যাম্পটি পরিচালনা করেন। বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে চক্ষু রোগী বাছাই করা হয়। সকাল থেকে অনেক দুরদুরান্ত ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শত শত নারী পুরুষ, শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরেন। গত একমাস ধরে লক্ষীছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা জোনের আওতাধীন এলাকায় মাইকিং করে এবং বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে রোগীদের নাম তালিকা ভূক্ত করে। নয়াবাজার ও ফটিকছড়ি এলাকার রোগীদের সেনা পরিবহনে উক্ত চক্ষু শিবির ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া এলাকাবাসীদের প্রাধান্য প্রদান করা হয়।
এছাড়াও একই দিন চক্ষু শিবির শেষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি এর দিকনির্দেশনায় ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে স্থানীয় জনগণের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সর্বমোট ২০০টি কম্বল এবং ২৫০টি সোয়েটার বিতরণ করা হয়।
পরবর্তীতে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি। এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, পিএসসি, জি, ম্যানেজার স্পেশাল এ্যাফেয়াস ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ বশির আহমদ, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
এছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেম্রাচাই চৌধুরী, মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্যাগ্রা মারমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মারমা, ভাইস চেয়ারম্যান বেবি রানী বসু, ফটিকছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট উত্তম কুমার মহাজনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।