বিহার নির্মাণ ও বুদ্ধ মূর্তি স্থাপনের আশ্বাস প্রশাসনের
স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার দূর্গম কুকিছড়া এলাকায় পরিত্যাক্ত সেনাক্যাম্পের সরকারী খাস জায়গায় নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনার একদিন পর ২৪অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলার চান্দামুনি বৌদ্ধবিহারে এলাকাবাসী ও ভিক্ষু সংঘদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভায় বিহার নির্মাণ ও বুদ্ধ মুর্তি স্থাপনের আশ্বাস দেন প্রশাসনের পক্ষ হতে।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল নওরোজ, সিন্দুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল রুবায়েত মাহামুদ, জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের সভাপতি বাসন্তী চাকমা, গুইমার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী প্রমুখ।
তারা এলাকাবাসী ও ভিক্ষুসংঘদের কথা শুনেন এবং তাদের দাবী অনুযায়ী আগামী দুই এক মাসের মধ্যে নতুন করে বিহার নির্মাণ ও বুদ্ধ মুর্তি স্থাপনের আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় বুদ্ধ ধর্মগুরুদের মধ্যে দেয়ানপাড়া মিশন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সংজ্ঞ রত্ন মহাথের, জ্যোতিসারা ভান্তে, কুকিছড়া পালিতুল সুরক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের প্রধান আগাচারা ভিক্ষু, নাক্রাইপাড়া বৌদ্ধা বিহারের প্রধান ক্ষেমাছাড়া ভিক্ষু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চান্দেমুনি বৌদ্ধবিহার এলাকায় আলোচনা সভা চলাকালে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের ব্যানারে গুইমারা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে শত শত নারী ও পুরুষ। এসময় চান্দামুনি বৌদ্ধ বিহার থেকে এসে ভিক্ষুসংঘ, প্রশাসনের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের শান্ত করেন।