মোঃ কাউছারুল ইসলাম, মহালছড়ি: সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়” এ স্লোগানকে সামনে রেখে মহালছড়ি উপজেলা বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে শুরুতে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মহালছড়ি উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে মহালছড়ি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শামসুর রহমান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মহালছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম,মহালছড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান মামুন, মহালছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি দীপক সেন, মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী বহুমুখী সমিতির সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন সহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করা ও জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সমতার চেতনা জাগ্রত করা সম্ভব। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সমবায় আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি জমি ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ঋণ, আয়বর্ধনমূলক প্রশিক্ষণ ও উপকরণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে সমবায় সমিতির মূল লক্ষ্য।
আরো বলেন, সমবায় সমিতি শেয়ার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজিগঠন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নসহ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মহালছড়ি উপজেলায় ৮১টি সমবায় সমিতি স্বতন্ত্র ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তাদের আরো সুসংগঠিত ওর দায়িত্বশীল হয়ে সমবায় পরিচালনা করার অনুরোধ করেন বক্তারা। সমবায় হোক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার মূল হাতিয়ার।