মহালছড়ি আবাসিক ছাত্রাবাসের ৪র্থ শ্রেনী কর্মচারীর জীবন কাটছে নানা কষ্টে
মহালছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রাবাসের ৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বিগত ১ বছর যাবত বেতন-ভাতা না পেয়ে বিশ^ মহামারী করোনা ভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর তৎকালীন চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী স্বাক্ষরিত নিয়োগ আদেশে দেখা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন মহালছড়ি আবাসিক ছাত্রাবাসে ৪ জন (ঝাড়ুদার, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও বাবুর্চি) চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ২০তম গ্রেডে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাবুর্চি পদে নিয়োগ পাওয়া মো: বাবুল মিয়া জানান, চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে দেড় বছরের মতো ঠিক মতো বেতন পাওয়ার পর গত বছর হঠাৎ বেতন বন্ধ হয়। এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। শুধু হবে, হচ্ছে করে ১ বছর কেটে গেলো আজ অবধি বেতনের কোন খবর নেই। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে চলমান কঠোর লকডাউনের কারণে বাইরে বের হয়ে আয় রোজগার করারও কোন সুযোগ নেই। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থেকে দিন কাটছে।
নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ পাওয়া রীতিময় চাকমা বলেন, ২০১৯ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আওতায় মহালছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর আবাসিক ছাত্রাবাসে ও গুইমারা আবাসিক ছাত্রাবাসে মোট ৭ জন চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী একসাথে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বছর থেকে হঠাৎ কি কারণে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হলো জানা নেই। এ বিষয়ে জানতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অফিসে গেলে কি একটা রেজুলেশন এর কপি বের না হওয়ার কথা বলা হয়। কিসের রেজুলেশন, কোথা থেকে বের হবে, সেটাতো আমাদের জানার বিষয় নয়। সেই দোষটাতো আমাদের নয়। আমরা কেনো বেতন পাবোনা? এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে গত এক বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় সীমাহীন কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছি। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবাসিক ছাত্রাবাসে নিয়োগ প্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের দীর্ঘদিন বেতন বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, সহজ কথায় অফিসিয়ালি জটিলতার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে তিনি মনে করেন।