মাটিরাঙ্গা ট্রাজেডি: ছুটির আগেই চিরছুটিতে শাওন
পাহাড়ের আলো ডেস্ক: ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার কথা ছিল বিজিবি সদস্য মো. শাওন খানের। কিন্তু ছুটির আগেই চিরদিনের ছুটি পেলেন তিনি। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন শাওন খান। বুধবার সকালে বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ বাসন্ডা গ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়েছে।
নিহত শাওন খান ওই গ্রামের নুরুল ইসলাম-নাসরিন বেগম দম্পতির ছেলে। বুধবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা-মা, স্ত্রীসহ আত্মীয়-স্বজনরা।
শাওনের স্ত্রী মারিয়া আক্তার বলেন, কিছুদিন পর ছুটি নিয়ে বাড়ি আসার কথা ছিল তার। কিন্ত ছুটির আগেই লাশ হয়ে ফিরতে হলো। তার এভাবে ফেরা আমরা কখনোই আশা করিনি।
বাবা নুরুল ইসলাম জানান, আট বছর আগে বিজিবির ২০ ব্যাটালিয়নে যোগ দেন শাওন। পরে খাগড়াছড়ির ৪০ ব্যাটালিয়নে বদলি হন।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বিজিবি সদস্য শাওন খান। ওইদিন সেখানে প্রথম জানাজার পর মরদেহ পাঠানো হয় বরগুনার গ্রামের বাড়িতে। বুধবার সকালে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, পৌরসভার মেয়র গোলমাল কবিরসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। মেয়র বলেন, শাওন ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ।