মানিকছড়িতে আনারসের বাম্পার ফলন বাজারজাতে শংকিত কৃষক
আবদুল মান্নান: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় এবারও আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাহাড়-সমতলের পরতে পরতে ফলন্ত বাগানে পরিপুষ্ট আনারস পাকার উপযুক্ত হলেও করোনা ভাইরাস আতংকে রাজধানীসহ সারা দেশের হাঁট-বাজারে জনসমাগম কম থাকায় আনারস বাজারজাতকরণে শংকিত কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকছড়ি-রামগড়-গুইমারা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদ গচ্ছাবিল, হাতিমুড়া, গভামারা,ওসমানপল্লী, হাফছড়ি, ফকিরনালার পাহাড়-সমতলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আনারসের ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। গত বছর লাগানো গাছে গাছে এখন পরিপুষ্ট আনারস পাকার উপক্রম হয়েছে। বিগত বছর গাছে আনারস পাকার আগেই রাজধানীর পাইকাররা আনারস কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আর এ বছর এখনো পাইকারদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস আতংকে ভুগছে দেশবাসী। ফলে আগের তুলনায় বাজার জমে উঠছেনা। যার কারণে পাইকাররা শহর থেকে গ্রামে আনারস সংগ্রহে এখনো পর্যন্ত সেভাবে আসছেনা।
২১ মার্চ মানিকছড়ির ওসমান পল্লী, গভামারা ও হাতিমুড়ায় গিয়ে দেখা যায় গত বছরের আনারস বাগানগুলোতে প্রচুর আনারস পরিপুষ্টু হয়ে আছে। দু/চার দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে, কিন্তু পাইকার নেই। কৃষক মো. এমাদুল আক্ষেপ করে বলেন, আমার জমিনে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, ফসল পাকার উপক্রম হয়ে আছে,কিন্তু পাইকার না আসায় আমি শংকিত! জানি না ভাগ্যে কি আছে। এমাদুলের মতো শতশত কৃষক যাদের গত বছরের বাগান রয়েছে তারা সকলে ক্ষেতের ফসল নিয়ে দুঃচিন্তাগ্রস্থ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি-রামগড়-গুইমারা উপজেলার সীমান্তবর্তী জনপদে প্রায় ২শত একর পাহাড়ে আনারসের অবাধ চাষাবাদ হয়। এখন জমিতে নতুন চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। আর গত বছরের গাছে ফল পাকতে শুরু করেছে।