মানিকছড়িতে কারিতাসের মতবিনিময় সভা
মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় কারিতাস এগ্রো ইকোলজি প্রকল্প কারিতাস কর্তৃক আয়োজিত উন্নয়নসহযোগী/উপকারভোগীদের সাথে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে মত বিনিময় সভা ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া আফরোজ। মাঠ সহায়ক জীবন্ত তালুকদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাঠ কর্মকর্তা মো. সোলায়মান। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, কারিতাস এগ্রো-ইকোলজি প্রকল্প কর্তৃক মানিকছড়ি উপজেলায় চলতি মাসে বিভিন্ন পাড়া পর্যায়ে উন্নয়ন সহযোগীদের বিভিন্ন কৃষি উপকরন বিতরণ করা হয়। বিতরনকৃত কৃষি উপকরণগুলোর তথ্য উপস্থিত সকলের নিকট উপস্থাপন করেন এবং উক্ত সভায় উপস্থিত সকলকে উন্মুুক্ত আলোচনায় সুচিন্তিত মতামত প্রদানের জন্য আহব্বান জানান।
প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী বুথাইছড়ি পাড়ার আব্দুর রহমান মৌমাছি চাষ সর্ম্পকে সকলের সাথে সহযোগিতা করেন। প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী বুধং পাড়ার জয়নাল আবেদিন পতিত পুকুর পুন:খনন এর বাজেট ও পুকুর খননের কার্যক্রম সর্ম্পকে সকলের সাথে সহযোগিতা করেন। প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী ডাইনছড়ি পাড়ার মানিক মিয়া পতিত পুকুর পূন:খনন এর বাজেট ও পুকুর খননের কার্যক্রম সর্ম্পকে সকলের সাথে সহযোগিতা করেন।
প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী গভামারা পাড়ার ক্যইজরী মারমা নার্সারীতে চারা উৎপাদন ও নার্সারীর কার্যক্রম সর্ম্পকে সকলের সাথে সহযোগিতা করেন। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়াম্যান রাহেলা আক্তার বলেন, স্থানীয় জাতের বিভিন্ন সব্জী ক্ষেতে অনেক সুস্বাদু, তাই দেশী জাতের বিভিন্ন ফসল ব্যাপক হারে চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ রাখেন। মাশরুম চাষ ও মৌমাছি চাষ প্রকল্পের সাথে যুক্ত করায় তিনি কারিতাস এগ্রো-ইকোলজি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং কারিতাস বিভিন্ন পাড়া পর্যায়ে উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় মানিকছড়ি এলাকার জনগন অনেক উপকৃত হচ্ছেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপজেলা চেয়াম্যান ¤্রাগ্য মারমা বলেন, প্রযুক্তি শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সকলের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে। কারিতাস এর বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়নে অনেক সহযোগীতা করায় এলাকার জনগন উপকৃত হচ্ছে ।
সভাপতির বক্তব্যে রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ফসল উৎপাদনে যথা সম্ভব জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং পরিমিত বা সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করা এবং কীটনাশক ব্যবহারের সকল নিয়ম মেনে ফসল উৎপাদন করা। রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প কিছু চিন্তা করা।