মানিকছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট
স্টাফ রিপোর্টার: ঈদের এখনও বাকি ৩ দিন, এরই মধ্যে জমে উঠেছে মানিকছড়ি উপজেলার একমাত্র কোরবানীর বড় পশুর হাট।ভাল দামে নিজের কষ্টে পালিত গরু বিক্রি করতে হাটে ভীড় করছেন বিক্রেতারা তেমনি পছন্দের গরুটি কিনতে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের। সকাল থেকেই হাটগুলোতে নিজের পালিত পশু নিয়ে হাজির হচ্ছেন খামারী ও গরু পালনকারীরা। আর দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভীড় হচ্ছে ক্রেতাদের। হাট ঘুরে দেখে নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে গরু কিনছেন ক্রেতারা। এবার বাজারগুলোতে বড় আকারের গরুর সরবরাহ নেই বললেই চলে। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর সরবরাহ বেশী। হাটে ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে পছন্দের গরু।
গরু কিনতে আসা উপজেলার বাসিন্দা মো. বেল্লাল জানান, কোরবানীর জন্য গরু কিনতে এসেছি। ঘুর ঘুরে দেখছি কোনটি কেনা যায়। তবে দাম এবার খুব একটা বেশী না। মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই আছে। অপর ক্রেতা ডাঃ আঃ রহিম জানান, ৫৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন কোরবানীর জন্য।দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট ভাল। হাটে ঘুরলাম এখনও কোন বিশৃঙ্খলা পায়নি। এদিকে গরু বিক্রি করতে আসা জাহিদুল ইসলাম জানান, ৬ মাস আগে একটি গরু ১৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন।গরুর খাবার বাবদ খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এবার কোরবানীর হাটে গরুটি বিক্রি করেছেন ৫৭ টাকা।
তবে হাটে গরু বিক্রি করতে আসা অন্যান্য বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত বিগত বছরগুলোতে বড় আকারের গরু পালন করলেও সঠিক মুল্য পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে মাঝারী আকারের গরুর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশী। তাই এবছর মাঝারী সাইজের গরু পালন করেছেন। তারা জানান, এখন পর্যন্ত বাজারে গরুর দাম ভাল। তবে শেষ মুহূর্তে যদি ভারতীয় গরু আমাদের হাটে আসে তাহলে দেশীয় গরুর দাম পড়ে যাবে, আমরা খামারীরা অনেক লোকসানের পড়ে যাব। তাই সরকারের কাছে জোরদাবি ভারতীয় গরু যেন সীমান্ত পাড় হয়ে বাংলাদেশে না আসে।
মানিকছড়ি অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুর রশিদ জানান, কোরবানীর পশু হাটের নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যেই হাট ইজারাদারদের সাথে বিশেষ সভা করেছি। এসআই ও এএসআই এর নের্তৃত্বে ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি টিম হাটে টহল দিচ্ছে। তিনি আরো জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ যাতে নিরাপত্তার সাথে পশু কেনা-বেচা ও টাকা পয়সা লেনদেন করতে পারে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চত করা হচ্ছে। জাল টাকা সনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। হাটে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির দৌরাত্ম বন্ধে সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে হাট এখনও কোন টাকা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি।