মানিকছড়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে নাজনিন আক্তার
মিন্টু মারমা: চলতি এসএসসি পরীক্ষায় মানিকছড়িতে একমাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী নাজনিন আক্তার। মূলত সে গিরি কলি কিন্ডারগার্টেন এন্ড পাবলিক স্কুলের ছাত্রী। গিরি কলি কিন্ডারগার্টেন এন্ড পাবলিক স্কুল’র নামে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি না থাকার কারণেই কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে পরিক্ষা দেয় নাজনিন আক্তার। সে তুলাবিল এলাকার মো. সালাউদ্দিন ও মরিয়ম বিবি’র বড় মেয়ে। তার বাবা তুলাবিল গ্রামে কৃষি কাজের পাশাপাশি ছোট-খাটো মুদিদোকান করেই এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ ৫জনের একটি সংসার চালান।
নাজনিন’র পিতা মো. সালাউদ্দিন জানান, অভাবের সংসারে সারা দিন মাঠে কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় ছোট-খাটো মুদিদোকান করি। যায় আয় হয় তা দিয়েই সন্তানদের পড়া-লেখা ও সংসার চালাই। অভাবের সংসার হলেও আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়েছে মেয়ে জন্য ততটুকু করেছি। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ওর প্রতি যতেষ্ট যতœবান ছিলো। ফলে আজ আমার মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার মা মরিয়ম বিবি’ খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলেন, আমার মেয়ে ৮ম শ্রেণিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার এসএসসি’তে পাইলো। এতে আমরা অনেক খুশি। গরিবের সংসারে এর চাইতে আর বেশি কিছু চাওয়ার নাই।
এছাড়াও পিতা-মাতা দুজনেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমার মেয়ের জিপিএ-৫ পাওয়ার পেছনে সবচাইতে বড় অবদান রেখেছেন বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমার মেয়ের ঐকান্তিক ইচ্ছাতেই আজ সে এমন ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন নাজনিন আক্তারের পিতা-মাতা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে সে খুবই মনোযোগি ছিল। অল্পতেই সে বুঝতে চেষ্টা করতো। না পারলে শিক্ষকদের সহায়তাও নিত। পড়া-লেখার প্রতি তার মনোযোগের ফলেই আজ সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এসএসসি পরিক্ষাতে সে জিপিএ-৫ পাওয়ার লক্ষেই পড়া-শুনা করেছে এবং সফলত হয়েছে। সে প্রমাণ করে দিয়েছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।