মানিকছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে ২য় দফায় ত্রাণ বিতরণ
আবদুল মান্নান: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী বিধিনিষেধে মানুষজন গৃহবন্দির আজ ২৯তম দিন। এ সময়ে নিন্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কারোরই হাতে কর্ম নেই। ফলে গৃহে বসে খেয়ে না খেয়ে দূর্বিসহ জীবন-যাপন করেছেন গ্রামের খেটে-খাওয়া মানুষ। লকডাউনের শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পার্বত্য জেলা পরিষদ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি’রা ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
২৩ এপ্রিল ২য় দফায় উপজেলায় এক হাজার পরিবারের মাঝে পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দে জেলা পরিষদের উদ্যোগে ত্রাণ-সামগ্রী করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার ও জনপ্রতিনিধি’রা।
উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতি‘করোনা’প্রতিরোধে দেশব্যাপি চলছে ঘোষিত ও অঘোষিত লকডাউন। ফলে তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বত্রই মানুষজন গৃহেবন্দি! সমাজের হত-দরিদ্র, অতি-দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের সকলেই বাসাবাড়িতে খাদ্য সংকটসহ দূর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসন সরকারের জি.আর বরাদ্দ থেকে ত্রাণ-বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের মাধ্যমে ২য় দফায় আবারও ১ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেন।। প্রতি প্যাকেটে চাল,ডাল,পেঁয়াজ,তৈল,আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে।
উপজেলার চার ইউনিয়নে জনসংখ্যানুযায়ী ১ নং মানিকছড়িতে ৩৫৫ প্যাকেট, ২ নং বাটনাতলী ইউপিতে ২০৩ প্যাকেট, ৩ নং যোগ্যাছোলা ইউপিতে ১৮৬ প্যাকেট এবং ৪ নং তিনটহরী ইউপিতে ২৫৬ প্যাকেট ত্রাণ-সামগ্রী ২৩ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার, মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক, মো. শহিদুল ইসলাম মোহন, ক্যয়জরী মহাজন ও মো. আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগ সভাপতি মো. সামায়উন ফরাজী সামুসহ ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে তৃণমূলে বিতরণ করেন।
জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. জব্বার ত্রাণ বিতরণকালে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ‘করোনা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি প্রতিদিন তৃণমূলে মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
উপজেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রালয়সহ সকল সংস্থাকে দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ২য় দফায় এ উপজেলায় আবারও ১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণের অংশ হিসেবে এ বিতরণ কার্যক্রম।