মানিকছড়িতে পাহাড় ধস সম্পর্কিত আগাম সচেতনতা মূলক র্যালি
মানিকছড়ি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ। আমাদের দেশে সৃষ্ট প্রাকৃতি দুর্যোগ বন্যা, খড়া, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও পাহাড় ধস অন্যতম। এসকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছর মানুষের প্রাণহানি, আর্থিক ও সামগ্রীক ক্ষয়-ক্ষতি লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে পার্বত্যঞ্চলে পাহাড় ধসে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির হয়। আর এ সকল ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকলের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতায় “পাহাড় ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত” র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্তর থেকে র্যালী বের হয়ে মানিকছড়ি ইংলিশ স্কুল হয়ে উপজেলা টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে টাউন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ(ভারপ্রাপ্ত) এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেলা আক্তার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ. রাজ্জাক, মানিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো: রশীদ প্রমূখ। র্যালী ও আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, সাংবাদিক, হ্যাডম্যান, কার্বারি ও গ্রাম পুলিশ অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি ও সচেতনতা জরুরী। পরিবেশ বিপর্যয় ও দুর্যোগ সমস্যা সামগ্রিকভাবে একটি দেশের জাতীয় সমস্যা। কাজেই এ সমস্যা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানই যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে যা দরকার তা হলো প্রতিটি মানুষের সঠিক চেতনাবোধ। দেশের প্রতিটি মানুষ যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও যে কোনো রকমের দুর্যোগের কবল থেকে অতি সহজেই নিজেদের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে পারবে, যা অধিক জরুরি। যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আমরা পুরোপুরি রক্ষা পাব না। তারপরও পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের ফলে কিছুটা হলেও ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাব এবং প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটবে না। বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগেই আমরা সতর্ক সংকেত পেয়ে থাকি। আর এ সংকেত পাওয়ার সাথে সাথে নির্ধারিত নিরাপদ স্থানে গিয়ে অবস্থান করার জন্য সকলকে আগাম সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়াও পাহাড়ের গেসে যারা অবস্থান করছে তাদের তালিকা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করার জন্য সকল ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ সকলকে আহবান জানায়।