রাঙ্গুনিয়ায় অর্ধশতাধিক বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরী
শান্তি রঞ্জন চাকমা, রাঙ্গুনিয়া : রাঙ্গুনিয়ায় সরকারী অনুমোদন ছাড়া প্রায় অর্ধশতাধিক বেকারি ও মিষ্টি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই”র অনুমোদন ও পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র নেই। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চলছে। তবে দু’একটি বেকারি ও মিষ্টি কারখানায় লাইসেন্স থাকলেও কাগজপত্র নবায়ন করা হয়নি বলে জানা গেছে। অবৈধ কারখানা চালু থাকায় এ খাত থেকে সরকার প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার রাজানগর, দক্ষিন রাজানগর, ইসলামপুর, লালানগর, পারুয়া, হোসনাবাদ, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা, পদুয়া রাজারহাট, রোয়াজারহাট, কাদেরনগর, সরফভাটা, পোমরা, শান্তিরহাট, বেতাগি সহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক বেকারি ও মিষ্টি কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানে খাদ্য তৈরিতে প্রতি মাসে শতশত মন জ্বালানি কাঠ (লাকড়ি) পোড়ানো হচ্ছে। পদুয়া ইউনিয়নের রাজারহাট বাজারের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, রাজারহাট বাজারে ঢাকা সুপার বেকারি, মেসার্স কে.জি.এন বেকারি সহ একাধিক অবৈধ মিষ্টি কারখানা গড়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে মানহীন বাহারি খাদ্যপণ্য। এসব খাবার খেয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের রাজারহাট চৌরাস্তা মাথার সিএনজি অটোরিক্সা চালক করিম গণি বলেন, অনুমোদন ছাড়াই দয়াল বেকারিতে নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে পেটিস, কেক, বিস্কুট, পাউরুটি সহ মুখরোচক নানা খাবার তৈরী করে বাজারজাত করা হচ্ছে। দয়াল বেকারিতে সরেজমিনে দেখা যায়, খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত জিনিসগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এদিক-ওদিক। শ্রমিকরা খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করছেন খাবারের পাশ দিয়ে। তাদের ঘাম ঝরে পড়ছে খাবারের ওপর। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ক্রিম। আর তার পাত্রগুলোতে ভন ভন করছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি। কয়েক দিনের পুরোনো তেলেই ভাজা হচ্ছে খাবার। ময়লা হাতেই প্যাকেট করা হচ্ছে খাবারগুলো।
মরিয়মনগর ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক ঘেঁষে “ইয়াসিন মিষ্টি ভান্ডার” নামে একটি কারখানা সরকারী অনুমোদন ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রসমলাই, মিষ্টি, জিলাপি, নিমকি সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিষ্টি কারখানার ব্যাপারে সর্তক করলেও এখনো অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। গোডাউন কাদেরনগর এলাকায় গড়েউঠা বেকারিতে খাদ্য তৈরি করার চুল্লির কালো ধোয়া পুরো এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিশু-কিশোর শ্রমিক দিয়ে বেকারি পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করার অভিযোগ উঠেছে। চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজারের এক এমবিবিএস ডাক্তার বলেন, সাধারন মানুষ নিম্নমানের খাদ্যপণ্য খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে শিশু-কিশোররা। ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি বেকারি পণ্য খেলে ক্যানসার সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের রাজারহাট চৌরাস্তা মাথার সিএনজি অটোরিক্সা চালক করিম গণি বলেন, অনুমোদন ছাড়াই দয়াল বেকারিতে নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে পেটিস, কেক, বিস্কুট, পাউরুটি সহ মুখরোচক নানা খাবার তৈরী করে বাজারজাত করা হচ্ছে। দয়াল বেকারিতে সরেজমিনে দেখা যায়, খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত জিনিসগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এদিক-ওদিক। শ্রমিকরা খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করছেন খাবারের পাশ দিয়ে। তাদের ঘাম ঝরে পড়ছে খাবারের ওপর। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ক্রিম। আর তার পাত্রগুলোতে ভন ভন করছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি। কয়েক দিনের পুরোনো তেলেই ভাজা হচ্ছে খাবার। ময়লা হাতেই প্যাকেট করা হচ্ছে খাবারগুলো।
মরিয়মনগর ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকার কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক ঘেঁষে “ইয়াসিন মিষ্টি ভান্ডার” নামে একটি কারখানা সরকারী অনুমোদন ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রসমলাই, মিষ্টি, জিলাপি, নিমকি সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিষ্টি কারখানার ব্যাপারে সর্তক করলেও এখনো অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। গোডাউন কাদেরনগর এলাকায় গড়েউঠা বেকারিতে খাদ্য তৈরি করার চুল্লির কালো ধোয়া পুরো এলাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিশু-কিশোর শ্রমিক দিয়ে বেকারি পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করার অভিযোগ উঠেছে। চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজারের এক এমবিবিএস ডাক্তার বলেন, সাধারন মানুষ নিম্নমানের খাদ্যপণ্য খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে শিশু-কিশোররা। ক্ষতিকারক নিষিদ্ধ কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি বেকারি পণ্য খেলে ক্যানসার সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।